সার্কিট বেঞ্চের অস্থায়ী ভবন।
বাকি রয়েছে শুধু রাঁধুনি, গাড়ি এবং গেরস্থালির সরঞ্জামের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের যাবতীয় পরিকাঠামো পুরোপুরি প্রস্তুত বলে দাবি করলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া সহ সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে গৌতমবাবু বেঞ্চের অস্থায়ী পরিকাঠামোর সব ভবনগুলি পরিদর্শন করেছেন। পাঁচ মাস ধরে তালা বন্ধ থাকায় সব ভবনই ধুলো-ঝুলে ভরে গিয়েছে। সে সব দ্রুত সাফসুতরো করে দেওয়া হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই নিয়মিত ভবনের ঝাড়পোছ শুরু হয়ে যাবে। কয়েকটি জায়গায় ডিসপ্লে বোর্ড বসানো, লাইটের ওয়ারিংঙের মতো ছোট ছোট কাজও করতে হবে। সে সব আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয় এ দিন।
পরিদর্শনের পরে জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন মন্ত্রী-আমলারা। আগের কয়েকটি সিদ্ধান্ত এ দিন কিছুটা রদবদলও হয়েছে। প্রথমে ঠিক ছিল ১২০ কিলো ভোল্টের বিদ্যুতের সাব স্টেশন করা হবে অস্থায়ী ভবন চত্বরে। এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে সেই ক্ষমতা বাড়িয়ে ২৪০ কিলো ভোল্ট করা হবে। তবে এত তাড়াতাড়ি সাব স্টেশন তৈরি করা সম্ভব নয় ধরে নিয়ে স্থির হয়েছে দুটো পৃথক বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে অস্থায়ী আদালত ভবনে।
পর্যটনমন্ত্রী গৌতমবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিদর্শন করলাম। আইনমন্ত্রীও আসবেন। হাইকোর্ট প্রশাসনের কোনও দলও আসতে পারে। আমরা যাবতীয় পরিকাঠামো নিয়ে প্রস্তুত।” এসজেডিএ-র সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীও পরিদর্শনে যান।
এ দিনের বৈঠকে প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে বেঞ্চের অস্থায়ী ভবনের ক্যান্টিন সহ বিচারপতিদের আবাসনের জন্য রাঁধুনি, গেরস্থালির সামগ্রীর ব্যবস্থা করতে হবে। সে প্রক্রিয়া দ্রুত সারতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ দিন।
বেঞ্চের কাজ সহ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনে ১০টি গাড়িরও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। সে সবই আগামী সপ্তাহের মধ্যে হয়ে যাবে বলে প্রশাসনের দাবি।
জলপাইগুড়ি জেলার সরকারি আইনজীবী গৌতম দাস প্রশাসনকে জানিয়েছে, শীঘ্রই হাইকোর্ট এবং কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের দলও পরিকাঠামো দেখতে আসবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy