Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coochbehar

পার্থ-রবির আলাদা অনুষ্ঠান, শিকেয় ঐক্য

প্রতিষ্ঠা দিবসেও কোচবিহারে দলের ফাটল লুুকোতে পারল না তৃণমূল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৫৬
Share: Save:

প্রতিষ্ঠা দিবসেও কোচবিহারে দলের ফাটল লুুকোতে পারল না তৃণমূল। বৃহস্পতিবার, রাত ১২টায় জেলা পার্টি অফিসে মঞ্চ বেঁধে অনুষ্ঠান করলেন পার্থপ্রতিম রায়। শুক্রবার, সকালে পার্টি অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এমজেএন পার্কের সামনে মঞ্চ বেঁধে অনুষ্ঠান করলেন ভূষণ সিংহ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

ভূষণের বক্তব্য, “যাঁরা কোচবিহারে এখন দায়িত্বে আছেন তাঁদের ঠিক ভাবে দলের দায়িত্ব পালন করা উচিত। সবাইকে সংগঠিত করা দরকার। কাউকে উপেক্ষা করা ঠিক নয়। সবাইকে নিয়ে এগোতে পারলে জেলার তবেই জেলার ন’টি আসন জয় করা সম্ভব। যদি এ ভাবে সবাইকে উপেক্ষার পাত্র করে রাখা হয়, তবে ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে।” রবীন্দ্রনাথ অবশ্য কোনও বিতর্কে যেতে চাননি। তিনি বলেন, “গোটা জেলা জুড়ে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া মিলছে সর্বত্র।”

দিন কয়েক আগেই কোচবিহার সফর করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মঞ্চে উঠতে না পেরে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ভূষণ। তবে সম্পর্কের শীতলতা কাটিয়ে ফের পার্থ এবং ভূষণ দু’জন গ্রামের সঙ্গে শহরেও তৃণমূলের হয়ে প্রচার শুরু করেছেন। কিন্তু একজন-আর একজনের প্রচারে শামিল হচ্ছেন না। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় রাজনীতিতে বর্তমানে পার্থপ্রতিম মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরোধী বলেই পরিচিত। এ দিন ওই মঞ্চে ছিলেন তৃণমূল নেতা জেলা পরিষদ সদস্য পরিমল বর্মণ। পরিমলের সঙ্গেও পার্থপ্রতিমের বিরোধের কথা দলের অন্দরে সবাই জানেন।

জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াঁও ওই মঞ্চে ছিলেন। খোকন এ দিন বলেন, “দলের সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে। তা পারলে আগামীদিনে খুব ভাল ফল হবে। সে কথা দলনেত্রীও প্রকাশ্যে বলে গিয়েছেন। সে কথাই সবাই মেনে চলছেন।”

বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পার্টি অফিসের সামনে মঞ্চবেঁধে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস নিয়ে সভা করেন পার্থপ্রতিম। সেখানে জেলার আর-এক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বিজেপি থেকে কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া একাধিক নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে জেলার মন্ত্রী-বিধায়কদের কাউকেও ওই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা পার্টির চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মণও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। বিনয় বলেন, “বেশি রাতে কোথাও যাইনি। দিনভর নানা অনুষ্ঠান পালন করেছি।” পার্থপ্রতিম অবশ্য কোথাও কোনও বিরোধ রয়েছে বলে মানতে চাননি। তিনি বলেন, “সবাই মিলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রত্যেকেই নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। তাই সবার পক্ষে এক জায়গায় উপস্থিত হওয়া সম্ভব হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coochbehar inner conflict tmc
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE