রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের দোতলার ঘর থেকে নতুন করে কোনও শব্দ শোনা যায়নি বলে দাবি করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তদন্তও আর হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে একজন সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সারা রাত বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসার স্বপনকুমার পাইন ও চার জন নিরাপত্তারক্ষী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নজরদারি চালিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকারের দাবি, বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশ পদার্থবিদ্যা বিভাগের বারান্দা থেকে কোলাপসিবল গেট দিয়ে একটি ধেড়ে ইঁদুর ও একটি পাখি বার হয়ে যেতে দেখেছেন। ওই দু’টি জন্তুই ঘরে আটকে পড়ে তাণ্ডব করছিল বলে তাঁদের অনুমান। সেই শব্দের প্রতিধ্বনিতেই মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে পদার্থবিদ্যা বিভাগ থেকে নানা ধরনের শব্দ ভেসে এসেছিল বলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত। কারণ, সেগুলি বার হয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে আর নতুন করে শব্দ শোনা যায়নি। তাই শব্দকাণ্ডে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করার আর যৌক্তিকতা বা প্রশ্নই নেই।
তবে বিএকজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নজরদারির কাজে নিয়োগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিভাগ থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা জানলা, চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ ও কাচ ভাঙার শব্দ সহ আসবাবপত্র সরানোর শব্দ পান বলে দাবি করেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভূতের উপদ্রবের গুজব ছড়ায়। পুলিশ ও দমকলের কর্মীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই বিভাগে ঢুকে সব কিছু ঠিকঠাক দেখে ফিরে আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপির পর্যবেক্ষক দীপক মিশ্রের বক্তব্য, কোনও মতলবে ষড়যন্ত্র করে সন্ধেয় স্নাতক স্তরের পঠনপাঠন বানচাল করার চেষ্টা করতেই কৃত্রিম শব্দ সৃষ্টি করা হয়েছে কি না, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত করা প্রয়োজন।
এ দিকে, এ দিন সকাল থেকে পদার্থবিদ্যা বিভাগে স্নাতক স্তরের বিভিন্ন বর্ষের শতাধিক পড়ুয়ারা সাধারণ ও প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস করেছেন। ওই বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা শকুন্তলা গুপ্তার দাবি, পড়ুয়া, অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাদের মধ্যে আতঙ্ক নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy