Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

দুই ওসির দ্বন্দ্বে তদন্ত

সেই ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে শুক্রবার সেই তদন্ত শুরু করেছেন জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা।

যুযুধান: মারমুখী দুই ওসি। রায়গঞ্জে বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

যুযুধান: মারমুখী দুই ওসি। রায়গঞ্জে বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০১:২৬
Share: Save:

হেলমেট পরা নিয়ে দুই ওসি-র দ্বন্দ্বে এ বার শুরু হল বিভাগীয় তদন্ত। সেই সঙ্গে, বৃহস্পতিবারের ঘটনার সময়ের রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় এলাকার ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয় সংলগ্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহেরও প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত ওই ঘটনার খবর ও ছবিও সংগ্রহ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ জেলা আদালত থেকে দফতরের কাজ সেরে বাইকে চেপে রায়গঞ্জ কর্ণজোড়ায় দফতরের জেলা কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন আবগারি দফতরের ওসি অংশুমান চক্রবর্তী। অভিযোগ, তিনি হেলমেট পরেননি। সেই সময় রায়গঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের ওসি জামালুদ্দিন আহমেদ শিলিগুড়ি মোড় এলাকায় অংশুমানবাবুর কাছ থেকে ১০০ টাকা জরিমানা দাবি করেন। অংশুমানের দাবি, তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে নিজের পরিচয় দিয়ে জরিমানা না করার জন্য জামালুদ্দিনকে অনুরোধ করেন। তখনই জামালুদ্দিন তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর বাইক বাজেয়াপ্ত করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। অংশুমান প্রতিবাদ করলে জামালুদ্দিনবাবু তাঁর জামার কলার ধরে টানতে টানতে গালে চড় মেরে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে ঢোকানোর চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। জামালুদ্দিনের অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, হেলমেট না পরায় অংশুমানের কাছে তিনি জরিমানা চাইতেই আবগারি দফতরের নাম করে অংশুমানই তাঁকে হুমকি দিয়ে তাঁর জামার কলার টেনে ধরে ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করেন। ওই ঘটনার পর দুই সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার অংশুমান ও জামালুদ্দিন পুলিশ সুপার ও রায়গঞ্জ থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সেই ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু করল উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে শুক্রবার সেই তদন্ত শুরু করেছেন জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকেরা।

এ দিন দুপুরে জেলা আবগারি দফতরের আধিকারিকেরাও রায়গঞ্জ থানায় গিয়ে আইসি অভিজিৎ সরকারের কাছে জামালুদ্দিনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে অংশুমানও ছিলেন।

পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌরের দাবি, যেহেতু দুটি সরকারি দফতরের আধিকারিকের মধ্যে গোলমালের ঘটনা ঘটেছে, তাই বিভাগীয় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। তদন্তে যেমন তথ্য উঠে আসবে সেই মতো প্রয়োজনে দু’জনের বিরুদ্ধেই আইন মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE