ছাত্র: বিপ্লব সরকার
কী ভাবে ছেলের চিকিৎসা করাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দাড়িভিট হাই স্কুলের গুলিবিদ্ধ ছাত্র বিপ্লবের বাবা গোবিন্দ সরকার। বিপ্লবকে শিলিগুড়ির নার্সিংহোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দশম শ্রেণির ছাত্রটির পায়ের স্নায়ুতে অস্ত্রোপচার দরকার। কিন্তু পেশায় কৃষক গোবিন্দবাবু বলেন, ‘‘চাষবাস করে কোনো মতে সংসার চলে। কী ভাবে ছেলের চিকিৎসা করাব জানি না। কেউ সাহায্য না করলে ছেলেটা পুরোপুরি সুস্থ হবে না।’’
সোমবার রাতে বিপ্লব বাড়ি ফিরেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোতেও বেশ পারদর্শী বিপ্লব। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে বসে সে বলে, ‘‘গুলি তো আগেই বেরিয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে, নার্সিংহোমে চিকিৎসা করে ছেড়ে দিয়েছে। এখন প্লাস্টিক সার্জারি দরকার। তা না হলে আমি আর খেলতে পারব না।’’
বৃহস্পতিবার দাড়িভিট হাইস্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ধুন্দুমার বাধে। চলে গুলি বোমার লড়াই। গুলিতে ইসলামপুর আইটিআই কলেজের ছাত্র রাজেশ সরকার এবং ইসলামপুর কলেজের ছাত্র তাপস বর্মণ মারা যান। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন বিপ্লব। তাঁকে প্রথমে ইসলামপুরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। সোমবার রাতে ছাড়া পায় সে।
এ দিকে পুলিশি ধরপাকড় নিয়ে এখনও আতঙ্ক রয়েছে দাড়িভিটা গ্রাম ও সংলগ্ন সুখানিভিটা, মাঝপাড়া, কালীবাড়ি, কুন্দরগাঁও, গোলাপাড়া, ধোলাইবস্তি-সহ আশপাশের এলাকা়।
এ দিন নিহত ছাত্র রাজেশ ও তাপসের বাড়িতে গিয়েছিলেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রঘুনন্দন এবং বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে ইসলামপুর ও কলকাতায় পৃথক ভাবে ৭২ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি করা হবে বলেই জানিয়েছেন রঘুনন্দন। সায়ন্তন জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে তাঁরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হবেন।
মঙ্গলবারও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ কুণ্ডুর সঙ্গে। কিন্তু রিং হলেও ফোন ধরেননি তিনি। তাঁর বাড়িতে গিয়েও দেখা মেলেনি। পরিচালন সমিতির সভাপতি নিশা গণেশ ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল হুদার ফোন সুইচড অফ ছিল। নিশার বাড়িতে গেলেও তাঁর দেখা মেলেনি। তাঁর ছেলে ও স্ত্রীকে বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও তাঁরা কিছু বলতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy