Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ত্রাণ না পেয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

কেটে গিয়েছে দু’দিন। ঝড়ের দাপটে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা। মরিয়া হয়ে ত্রাণের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াচক ২ ব্লকের বাঙিটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৭ ০৩:২৮
Share: Save:

কেটে গিয়েছে দু’দিন। ঝড়ের দাপটে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা। মরিয়া হয়ে ত্রাণের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াচক ২ ব্লকের বাঙিটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।

ত্রাণ না মেলার একই অভিযোগ ঝড়ে বিপর্যস্ত মানিকচক ব্লকের নায়ারণপুর চর ও ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিরও। দু’দিনের মধ্যে এলাকায় ত্রাণ না পৌঁছলে মানিকচক বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে ডোমহাট গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ কমিটি। ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে যাওয়ায় দুই ব্লকের অসংখ্য পরিবার রবিবার রাত থেকে খোলা আকাশের নীচেই রয়েছেন।

রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কালবৈশাখীর দাপট আছড়ে পড়ে গঙ্গা তীরবর্তী মানিকচক ও কালিয়াচক ২ ব্লকে। দু’টি ব্লকের অন্তত ৬’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অসংখ্য কাঁচা বাড়ির চাল উড়ে যায়। ভেঙে পড়ে ঘর। উপড়ে পড়ে প্রচুর গাছ ও একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি।

ঝড়ের দু’দিন পরেও ত্রাণ না পৌঁছানোয় ক্ষোভ ছড়িয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে। এ দিন দুপুরে কালিয়াচক ২ ব্লকের বাঙিটোলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই অলিটোলা, বানুটোলা, নসরতটোলা, গোলোকটোলা ও নয়াগ্রামের বাসিন্দারা। অলিটোলার বাসিন্দা জুলমাত হোসেন, সাকিব শেখ, আজাহার শেখরা জানান, তাঁরা তিনদিন ধরে পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নীচে রয়েছেন। অথচ এ দিন পর্যন্ত কোনও ত্রাণ পাননি। তাঁদের আরও অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করতে ব্লক প্রশাসনের লোকজন দায়সারা ভাবে এলাকায় ঘুরেছে। মনগড়া তালিকা তৈরি হলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হবেন।

গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এ দিন ছিলেন না। উপপ্রধান মলিউদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘আমাদের অন্ধকারে রেখে ব্লক প্রশাসনের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ফলে ত্রাণের ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। তবে আমাদের তদন্তে বাঙিটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় এক হাজার পরিবার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু তিন দিনেও তাঁরা ত্রাণ পেল না।’’বিডিও অরিজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তালিকা হচ্ছে। শীঘ্রই ত্রাণ পৌঁছবে।’’

এ দিকে মানিকচক ব্লকের নারায়ণপুর চরের পঞ্চায়েত সদস্য নরসিংহ চৌধুরী বলেন, ‘‘এই চরে প্রায় দু’শো পরিবার দু’দিন ধরে একেবারে খোলা আকাশের নীচে রয়েছে। কিন্তু এ দিন বিকেল পর্যন্ত প্রশাসন ত্রাণ পাঠালো না।’’ একই অভিযোগ ব্লকের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও। ডোমহাট গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অরুণ রজক বলেন, ‘‘দু’দিনের মধ্যে যদি এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ না পায় তবে বিডিও অফিস ঘেরাও করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Relief kaliachak
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE