প্রতীকী চিত্র।
বুধবার শিলিগুড়ি শহরে দুটি পৃথক সাংবাদিক বৈঠক হয়। একটি চিটফান্ড সাফারার্স অ্যান্ড এজেন্ট ইউনিটি ফোরামের, অন্যটি সম্মিলিত কেন্দ্রীয় বাস্তুহারা পরিষদের। দুই সংগঠনের কর্তাদেরই দাবি তাঁদের সংগঠন অরাজনৈতিক। যদিও দুই সংগঠনের প্রায় সমস্ত নেতারাই সিপিএমের। সংগঠন দু’টির বৈঠকও হয় সিপিএমের দুই কার্যালয়ে। চিটফান্ড আন্দোলনকারীরা বৈঠক করেন সিটু-র দার্জিলিং জেলা দফতরে। আর বাস্তুহারা পরিষদের বৈঠক হয় সিপিএমের দার্জিলিং জেলা দফতরে। দুই সংগঠনই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে একগুচ্ছ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, লোকসভা ভোটের আগে চিটফান্ড এবং উদ্বাস্তু প্রসঙ্গে ফের লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি তৈরি করে শিলিগুড়িতে মাঠে নামছে সিপিএম। সেই কারণেই অরাজনৈতিক ব্যানারেও আন্দোলন শুরু করছে বামফ্রন্টের বড় শরিক।
চিটফান্ড সাফারার্স ফোরামের বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির সদস্য পার্থ মৈত্র। পার্থবাবু ফোরামের উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক। তিনি জানিয়েছেন, চিটফান্ডের ঘটনায় প্রতারিতদের নিয়ে রাজ্য স্তরে আন্দোলনরত আমানতকারী এজেন্ট সুরক্ষা মঞ্চের নিয়ন্ত্রণেই কাজ করে ফোরাম। পার্থবাবু মঞ্চের রাজ্য সভাপতি পদেও আছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৫ ডিসেম্বর প্রতারিত আমানতকারীদের নিয়ে শিলিগুড়ির বাঘা যতীন পার্কে সভা করবেন তাঁরা। ফোরামের ডাকে বুধবার দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে একাধিক পদযাত্রার আয়োজন করা হলেও প্রশাসন ও পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় তা করা যায়নি বলেই অভিযোগ পার্থবাবুর। তিনি জানিয়েছেন, টাকা ফেরতের দাবিতে ১৪ ডিসেম্বর আমানতকারী এজেন্ট সুরক্ষা মঞ্চের পক্ষ থেকে কলকাতায় সিবিআই দফতর ঘেরাও করা হবে। ২০ ডিসেম্বর ঘেরাও হবে শিলিগুড়ির সিবিআই দফতর। ৩ ও ৪ জানুয়ারি কলকাতায় অবস্থান বিক্ষোভও করা হবে। পার্থ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও ব্যবস্থাই করেনি। আর তদন্তের নামে টালবাহানা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। দুই সরকারের বিরুদ্ধেই আন্দোলন হবে। বামেদের ডাকা দেশব্যাপী দুই দিনের ধর্মঘটেও প্রতারিতরা অংশ নেবে।’’
বাস্তুহারা পরিষদের বৈঠকে সিপিএমের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য মুকুল সেনগুপ্ত, জেলা কমিটির সদস্য শঙ্কর ঘোষ, দলীয় কাউন্সিলার পরিমল মিত্র উপস্থিত ছিলেন। পরিমলবাবু পরিষদের দার্জিলিং জেলা সভাপতি। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বন্ধ করা, সমস্ত উদ্বাস্তুদের জমির মালিকানা প্রদান, ডিজিট্যাল রেশনকার্ড ও আধারকার্ড নিয়ে হয়রানি বন্ধ, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিষেবা চালু সহ বিভিন্ন দাবিতে ১৪ ডিসেম্বর তাঁরা শিলিগুড়ি শহরে মিছিল করবেন। বাঘা যতীন পার্ক থেকে সেই মিছিল যাবে এয়ারভিউ মোড় পর্যন্ত। পুরনিগম সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি শহরে নথিভুক্ত ১৫৪টি এবং নথিভুক্ত নয় এমন ৩৪টি নিয়ে মোট ১৮৮টি কলোনি রয়েছে। ৃএর মধ্যে বহু কলোনি রয়েছে রেলের জমিতে। শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘বাম আমলে সরকার রেলের কাছে জমি কিনে বহু উদ্ধাস্তুকে পাট্টা দিয়েছিল। এই সরকারও সেটা করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy