মৃত: বৃহস্পতিবার গ্যারগেন্দা বাগানে উদ্ধার চিতাবাঘের দেহ। নিজস্ব চিত্র
পরপর দু’দিন দু’টি চিতাবাঘকে বিষ মেশানো মাংস খাইয়ে মারা হল গ্যারগেন্দা চা বাগানে। দিন কয়েক আগে কাছাকাছি এলাকাতেই চিতাবাঘের আক্রমণে মারা গিয়েছে এক শিশু ও এক যুবক। তারই শোধ তুলতে বিষ মেশানো মাংস খাওয়ানো হচ্ছে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে।
উদ্বিগ্ন বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ চিতাবাঘ খুনে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বন দফতরের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন৷ নড়েচড়ে বসেন বন দফতরের কর্তারাও৷ কুকুর নিয়ে চা বাগানের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশিও চালানো হয়েছে৷ চিতাবাঘকে মারা হলে কী শাস্তি হতে পারে, তা নিয়ে বাগানে মাইকে ঘোষণাও করা হয়। তবে দু’টি চিতাবাঘ খুনে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি৷
গত ১২ ডিসেম্বর ধুমচিপাড়া চা বাগানে চিতাবাঘের হানায় পাঁচ বছরের একটি শিশুর মৃত্যু হয়৷ চার দিন পরে ধুমচিপাড়া চা বাগানেই চিতাবাঘের হানায় এক বৃদ্ধ গুরুতর জখম হন৷
গত রবিবার রামঝোরা চা বাগানে চিতাবাঘের হানায় ১২ বছরের এক কিশোর মারা যায়। এরপরেই বুধবার ধুমচিপাড়া ও রামঝোরার কাছে গ্যারগেন্দা চা বাগানের ইস্ট ডিভিশনের ৩৫ নম্বর সেকশন থেকে একটি বছর ছয়েকের মহিলা চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার হয়৷ বৃহস্পতিবার বাগানের একই ডিভিশনের ৩২ নম্বর সেকশন থেকে মেলে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘের দেহ। ময়নাতদন্তের পরে দেখা গিয়েছে, দু’টি ক্ষেত্রেই বিষ মেশানো মাংস খেয়েই মৃত্যু হয়েছে। জলদাপাড়ার ডিএফও কুমার বিমল বলেন, “চা গাছে যে কীটনাশক ব্যবহার হয়, তা মেশানো মাংস খাইয়েই দু’টি চিতাবাঘকে মারা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy