Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

দড়ির ফাঁদে বন্দি চিতাবাঘ

চা বাগানে পেতে রাখা দড়ির ফাঁদে আটকে পড়ল চিতাবাঘ। করেন। রবিবার সকালে এই ঘটনার পরে চিতাবাঘের প্রবল গর্জনে ক্রান্তি লাগোয়া যোগেশচন্দ্র চা বাগানের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

ঘুমিয়ে: উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘটি। নিজস্ব িচত্র

ঘুমিয়ে: উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘটি। নিজস্ব িচত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
লাটাগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৫৭
Share: Save:

চা বাগানে পেতে রাখা দড়ির ফাঁদে আটকে পড়ল চিতাবাঘ। করেন। রবিবার সকালে এই ঘটনার পরে চিতাবাঘের প্রবল গর্জনে ক্রান্তি লাগোয়া যোগেশচন্দ্র চা বাগানের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বন দফতরের ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার বিশেষজ্ঞ বনকর্মী বিজয় ধর ঘটনাস্থলে এসে চিতাবাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে অচেতন করে উদ্ধার করেন।

বাগানের শ্রমিক মহল্লার ভিতরে দড়ি পেঁচিয়ে বেড়ার মত করে ঝোলানো ছিল। সাধারণত বুনো শুয়োর ধরতে এমন দড়ির ফাঁদ চা বাগানের শ্রমিকরা ব্যবহার করে থাকেন। আর তাতেই কোনওভাবে চিতাবাঘটি আটকে পড়ে। চিতাবাঘের গর্জনে গোটা বাগানে আতঙ্ক ছড়ায়। বনকর্মীর ঘুমপাড়ানি গুলিতে চিতাবাঘটি অচেতন হতেই বাগানে উৎসুক জনতার ভিড় বাড়তে থাকে। চিতাবাঘটির যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেজন্যে বন দফতরের বড় গাড়ির অপেক্ষা না করে একটি ছোট গাড়ির পিছনে ডিকিতে তুলে সেটিকে সরাসরি লাটাগুড়ির গরুমারা লাগোয়া প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই দিনভর চিতাবাঘটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

গরুমারার দক্ষিণ রেঞ্জের রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তী জানান, পুরুষ চিতাবাঘটির বয়স আনুমানিক পাঁচ বছর। তিনি বলেন, ‘‘যে এলাকা থেকে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে কোনও বন্যপ্রাণী ধরার অবৈধ ফাঁদ রয়েছে কি না তা জানতে বন দফতরের একটি পৃথক দলকে পাঠানো হয়েছে।’’ চিতাবাঘটি যেহেতু ফাঁদে আটকে অস্থির অবস্থায় ছিল এবং ঘুমপাড়ানি গুলিতে অচেতন হয়ে পড়েছিল তাই জ্ঞান ফিরলেও তার পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে বলেই জানান বনকর্মীরা। পরবর্তীতে জঙ্গলে ছাড়ার আগে রেডিও কলার পরিয়ে গতিবিধি নজরে রাখা যায় কি না সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দফতর সূত্রে খবর।

এ দিকে বাগানে একাধিক চিতাবাঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেই যোগেশচন্দ্র চা বাগানের শ্রমিকদের দাবি। বাগানের শ্রমিক মংলা মুন্ডা, শিবু ওঁরাওদের ক্ষোভ, ‘‘কয়েকমাস ধরেই হাঁস, মুরগি, ছাগল ছেড়ে রাখা যাচ্ছে না। গৃহপালিত পশুদের সবসময় বেঁধে রাখাও সম্ভব নয়। চিতাবাঘের আতঙ্কে তাই সকলেই ভয়ে ভয়ে থাকছে।’’ এ দিন যে চিতাবাঘটি উদ্ধার হয়েছে সেটি ছাড়াও আরও চিতাবাঘ বাগানে রয়েছে বলেই দাবি শ্রমিকদের। অবিলম্বে খাঁচা বসানোর দাবিও উঠেছে বাগানে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Trap Leopard Tea Garden
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE