অরবিন্দ ঘোষকে শ্রদ্ধা অশোক ভট্টাচার্যের। — নিজস্ব চিত্র
পুরসভা জবর দখলের চেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে চলেছে সিপিএম।
নির্দল কাউন্সিলর অরবিন্দ ওরফে অমু ঘোষের মৃত্যু পরদিন সিপিএমের শিলিগুড়ি জোনাল কমিটির তরফে এই ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মতে, যে ভাবে তৃণমূল আসরে নেমে পড়েছে, তাতে এখনই প্রতিবাদে নেমে ওই অন্যায় চেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হওয়া, জনমত তৈরি করা প্রয়োজন। রাজ্য সরকার শিলিগুড়ি পুরবোর্ড আর্থিক অবরোধের মধ্যে ফেলতে চাইছে বলেও বামেরা অভিযোগ তুলেছেন। সে সব নিয়েই প্রতিবাদে সোচ্চার হতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। পর দিন শিলিগুড়ি জংশন স্টেশনের কাছে আম্বেডকর মূর্তির সামনে জন প্রতিনিধিরা অবস্থানে বসবেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীও উত্তরবঙ্গ থাকবেন।
সিপিএমের একাংশের আশঙ্কা, পুজোর বিসর্জনের পর শিলিগুড়ি পুরবোর্ড বিসর্জন হবে বলে পর্যটন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব হুমকি দিচ্ছেন। ২৩ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বামেরা ৪৭ আসনের শিলিগুড়িতে পুরবোর্ড গড়েছিল অরবিন্দবাবুর সমর্থন নিয়ে। ইতিমধ্যেই এক বাম কাউন্সিলর তৃণমূলে গেলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে পুরবোর্ড। অরবিন্দবাবুর মৃত্যু সেই সঙ্কট বাড়িয়েছে। যদিও কংগ্রেস বামেদের সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে।
এ দিন পুরসভায় অরবিন্দবাবুর স্মরণসভার পর অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা হয়। বাম কাউন্সিলররা এবং সঙ্গে কংগ্রেসের একাংশ কাউন্সিলর শোকসভায় থাকলেও তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর ছিলেন না। শোকসভা শুরু আগে বিরোধী দলনেতার আসার জন্য অপেক্ষাও করা হয়। বিরোধী দলনেতা নান্টু পাল জানান, চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মণি চক্রবর্তী গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন বলে শোকসভায় যেতে পারেননি।
সিপিএমের শিলিগুড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক তথা পুরসভার পানীয় জল সরবরাহের মেয়র পারিষদ জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি পুরবোর্ড দখল করতে চাইছে। রাজ্য সরকার পুরসভাকে আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ফেলার চেষ্টা করছে। প্রতিবাদে মিছিল করে মহকুমা শাসকের দফতরের মাধ্যমে জেলাশাসককে তা নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।’’ বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘এই পুরবোর্ড মানুষকে পরিষেবা দিতে পারছে না। মানুষ তাদের আর চাইছেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy