এই কল নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
৩৩ লক্ষ টাকার ডিপ টিউবওয়েল! সেই কল আছে, কিন্তু তাতে জল নেই। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ধূপগুড়ির ঝাড়আলতা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে বসানো হয়েছিল এই ডিপ টিউবয়েল। সেই টিউবয়েলের পাশে ঝোলানো বোর্ডে লেখা— এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ৩৩ লক্ষ টাকা। তবে এত টাকা দিয়ে বানানো কল থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা জল পেয়েছেন মাত্র দিন সাতেক। তার পর থেকেই তা অকেজো। স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন করেও কোনও সুফল মেলেনি। এর পর স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে সেটিকে সাড়াই করলেও কয়েকদিনের মধ্যে তা ফের নষ্ট হয়ে যায়।
শুধু দামি টিউবওয়েল খারাপ হওয়া নয়। সেখানে ঝুলিয়ে রাখা বোর্ডের লেখা নিয়েও রয়েছে আপত্তি। সেই বোর্ডে উল্লেখ রয়েছে ঝাড়আলতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খুকলুং বস্তির (বনবস্তি) বাসিন্দাদের জন্য এই টিউবয়েল। কিন্তু সেটি বসানো হয়েছে ঝাড়ালতা ১ নং গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব রায় বলেন, ‘‘কলটি বসানোর পর কিছুদিন জল পেয়েছিলাম। তার পর থেকেই সেটি খারাপ। তাছাড়া আমাদের গ্রাম ঝাড়আলতা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে। অথচ বোর্ডে লেখা ঝাড়আলতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত খুকলুং বস্তি।’’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘কলটা বসাতে ৩৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৫৯ টাকা লেগেছে বলে লেখা রয়েছে। যা কোনও দিন হতে পারে না।’’
এ বিষয়ে ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশচন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘‘এটা বিসিডব্লিউ-র কাজ। বোর্ডটা হয়তো ঠিকাদার সংস্থা ভুল করে লাগিয়েছে। তাছাড়া কাজটা পঞ্চায়েত সমিতি করেনি। বিডিও-র তত্ত্বাবধানে কাজটি হয়েছে। তেত্রিশ লক্ষ টাকার যে বোর্ড লাগানো হয়েছে সে বিষয়ে আমি খবর নিয়ে তবে মন্তব্য করব।’’ ধূপগুড়ির সিপিএম নেতা জয়ন্ত মজুমদার বলেছেন, ‘‘কল বসাতে ৩৩ লক্ষ টাকা লাগে আগে কখনও শুনিনি। এর মধ্যে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছি। তদন্ত হওয়া দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy