Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

রাতের শহরে বাজার এলাকায় চলল গুলি, আতঙ্কিত স্থানীয়রা

স্থানীয় বাসিন্দা দেবযানী চক্রবর্তী, দেবপ্রিয়া ভট্টাচার্যরা জানান, ‘‘বাজারের কিছু দোকানপাট খোলা ছিল। গুলির আওয়াজে বাইরে বেরিয়ে আসি। স্থানীয়রা দৌড়চ্ছিল। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।’’

তদন্তে: এলাকায় এসেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র

তদন্তে: এলাকায় এসেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ০৩:০৪
Share: Save:

ভরা বাজার এলাকার মধ্যে গুলির আওয়াজকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল। সোমবার রাত দশটা নাগাদ শিলিগুড়ি থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাগরাকোটের ঘটনা। যে জায়গায় গুলি চলেছে বলে বাসিন্দারা বলছেন, সেখানে একটি ক্লাব ও শনি মন্দির রয়েছে। শনি মন্দির দিকে দুই রাউন্ড এবং একটি জেরক্সের দোকানে দিকে এক রাউন্ড গুলি চলার আওয়াজ মিলেছে বলে বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন।

ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও কারা গুলি চালাল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে। কোনও দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালে এই ঘটনা নাকি কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে ভয় দেখাতেই শূন্যে গুলি চালিয়ে এমনটা করা হয়েছে তা পুলিশ দেখছে। এলাকায় যান শিলিগুড়ি থানার আইসি দেবাশিস বসু, খালপাড়া ফাঁড়ির অফিসার সুবল ঘোষ ও অন্য অফিসাররা। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা দেবযানী চক্রবর্তী, দেবপ্রিয়া ভট্টাচার্যরা জানান, ‘‘বাজারের কিছু দোকানপাট খোলা ছিল। গুলির আওয়াজে বাইরে বেরিয়ে আসি। স্থানীয়রা দৌড়চ্ছিল। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।’’

রাতে এলাকার একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা শুরু করেছে পুলিশ। রাতে অবশ্য গুলির খোল মেলেনি।

বাসিন্দাদের একাংশ জানান, লোকাল বাসস্ট্যান্ড, বাগরাকোট, লিচু বাগান এবং টাউন স্টেশন এলাকায় সন্ধ্যার পর কিছু অসামাজিক কাজকর্ম হয়। নিয়মিত মদ-গাঁজার ঠেক, আসর বসে। বাইরে থেকেও ছেলেরা আসে। পুলিশের নজরদারি আরেকটু বাড়ানো প্রয়োজন। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল জানান, তদন্ত হচ্ছে। কত রাউন্ড গুলি চলেছে, পিছনে কারা রয়েছে, দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Panic Firing Night Market
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE