মহকুমা শাসকের চেম্বারের দরজা আগলে পুলিশ বাহিনী। চেম্বারের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে কর্মীর বার্তা, ‘‘একটু অপেক্ষা করতে হবে।’’ শুনেই ঝাঁঝিয়ে উঠলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। ওই কর্মীকে পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ‘‘অপেক্ষা কিসের? আমাদের কথা বলাই রয়েছে।’’ নেত্রীর মেজাজ দেখে সরে দাঁড়ালেন পুলিশ কর্মীরা। জেলা বিজেপি নেতাদের নিয়ে হনহনিয়ে শিলিগুড়ির মহকুমা শাসকের দফতরে ঢুকে গেলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়। সে সময় চেম্বারের ভিতরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে বৈঠক চলছিল। আধঘণ্টা খানেক সে বৈঠক মুলতুবি রেখেই স্মারকলিপি নিতে হল মহকুমা শাসক পানিক্কর হরিশঙ্করকে।
রাজ্য জুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সহ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে বুধবার শিলিগুড়িতে দলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এ দিনই পৌঁছোন লকেট। আবার বিকেলের উড়ানে তিনি কলকাতা ফিরে গিয়েছেন। বিজেপি নেতাদের দাবি, কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করতেই জেলায় জেলায় দলের রাজ্যের পদাধিকারীরা ঘুরছেন।
বিজেপির মিছিলের জেরে এ দিন দুপুরে যানজটে শহরের একদিক অবরূদ্ধ হয়ে যায়। হিলকার্ট রোড দিয়ে হাসমিচক হয়ে শিলিগুড়ি কোর্ট চত্বরে মহকুমা শাসকের দফতরে পৌঁছয় মিছিল। সামনেই লকেটকে দেখে রাস্তার দু’পাশে ভিড় জমে যায়। মোবাইলে ছবি তোলার হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।
মিছিল এবং বিক্ষোভের অনুমতি আগেই নিয়ে রেখেছিল জেলা নেতারা। মহকুমা শাসকও সে সময় অফিসে থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন। মহকুমা শাসকের দফতরে পৌঁছে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে শুনেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন লকেট। পরে অবশ্য মহকুমা শাসকের সঙ্গে স্বাভাবিক পরিবেশেই কথা হয়েছে। লকেট বলেন, ‘‘রাজ্যে নারীদের সম্মান বিপন্ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি বিপর্যস্ত। রাজ্যে সদ্যোজাতরাও নিরাপদ নয়। শিশু চুরি চক্রে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। সবই মহকুমা শাসককে জানিয়েছি।’’
চলতি মাসের শেষে ফের তিনি শিলিগুড়িতে আসতে পারেন বলে লকেট জানিয়েছেন। এ দিনের মিছিলের ভিড় দেখে খুশি বিজেপি নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy