প্রচারে বেরোনোর আগে মৌসম নুর। নিজস্ব চিত্র
হুড খোলা গাড়ি থেকে নেমে বাসিন্দাদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে অনেকটাই হাঁটছেন। প্রচার সেরে গাড়িতে ওঠার ফাঁকে ডান হাতে জড়ানো রিস্ট ব্যান্ডটায় বেশ মনোযোগ দিয়ে চোখ বুলিয়েও নিচ্ছেন নিয়ম করে। কিন্তু ঘড়ি তো বাঁ হাতে। তবে কী দেখলেন? উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থীর সহাস্য উত্তর, পেডোমিটার। চিকিৎসকের কড়া নির্দেশ। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার পা হাঁটতেই হবে। তাই প্রচারের ফাঁকে কতটা হাঁটা হল খেয়াল রাখতে হচ্ছে।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে ডান পায়ে নার্ভের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তারপর থেকেই চিকিৎসক ওই নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু ভোটের দামামা গাড়িতে চেপেই প্রচারে যেতে হচ্ছে প্রার্থীকে। তাই প্রতিদিন সকালে প্রচারে বের হওয়ার আগে গোছগাছের সময় প্রথমেই ডান হাতে পরে নিচ্ছেন পেডোমিটার। যা ফিটস্টেপ রিস্ট ব্যান্ড নামেও পরিচিত। আর বাঁ হাতে বেশিরভাগ দিনই থাকছে মায়ের ব্যবহৃত হাতঘড়ি।
এ ছাড়া যে পোশাকে মৌসমকে দেখতে বাসিন্দারা অভ্যস্ত, সেই সালোয়ার কামিজ আপাতত বাক্সবন্দি। প্রচারে সুতির ছাপানো শাড়িই প্রতিদিন পরে বের হচ্ছেন। যার অধিকাংশই তার মা প্রয়াত রুবি নুরের। গরম থেকে বাঁচতে মাথায় থাকছে দলের প্রতীক আঁকা টুপি। ছুটির দিনেও তার অন্যথা হয়নি। সকাল থেকে সন্ধে, মাঝেমধ্যেই হুড খোলা গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে পেডোমিটারে চোখ বুলিয়ে দাপিয়ে প্রচার চালিয়েছেন।
দুপুরে খরবায় দলীয় কর্মীদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া সারেন মৌসনের সঙ্গী তৃণমূল নেতারা। মৌসম অবশ্য প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পরোটা আর তরকারি খান।
তাঁকে দেখে ভর দুপুরেও একাধিক এলাকার মতো ভিড় কার্যত ছোটখাটো জনসভার চেহারা নিচ্ছে। তাতে তৃণমূল জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি, গনি পরিবারের মেয়ে বলেই মৌসমকে দেখতে ভিড় হচ্ছে। তিনি দলত্যাগ করে তৃণমূলে যাওয়ায় মালদহের মানুষ তা ভাল মনে মেনে নেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy