Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
general-election-2019-west-bengal

এসপি-র সঙ্গে বচসা রবির

রবীন্দ্রনাথ অবশ্য অভিযোগ করেন, পুলিশ সুপার অনৈতিক ভাবে ওই ক্যাম্প অফিস সরানোর নির্দেশ দেন।

বচসা: কোচবিহারের পুলিশ সুপার অমিতকুমার সিংহের মুখোমুখি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বুধবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

বচসা: কোচবিহারের পুলিশ সুপার অমিতকুমার সিংহের মুখোমুখি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বুধবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৯ ০৪:৩৫
Share: Save:

গণনার ঠিক এক দিন আগে ক্যাম্প অফিস নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বুধবার স্ট্রংরুম কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার সিংহ ওই জায়গা থেকে ক্যাম্প অফিস সরিয়ে নিতে বলেন। তা মানতে চাননি রবীন্দ্রনাথ। তা নিয়েই প্রকাশ্যেই দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তৃণমূল সভাপতি ফিরে যাওয়ার পরে ওই জায়গা থেকে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার বলেন, “নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় যাতে কোনও রকম গন্ডগোলের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য ক্যাম্প অফিস সরিয়ে নিতে বলা হয়। পরে তা সরিয়ে নেওয়া হয়।”

রবীন্দ্রনাথ অবশ্য অভিযোগ করেন, পুলিশ সুপার অনৈতিক ভাবে ওই ক্যাম্প অফিস সরানোর নির্দেশ দেন। তাঁর দাবি, কমিশনের নিয়ম মেনে গণনাকেন্দ্র থেকে ১২০ মিটার দূরে ক্যাম্প অফিস তৈরি করা হয়। ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও ক্যাম্প করানো যাবে না বলে কমিশনের নির্দেশ রয়েছে। তা নিয়েই বচসা শুরু হলে তৃণমূল সভাপতি পুলিশ সুপারকে বলেন, “যখন আইন ভেঙে ভোটের দিন বিজেপি কর্মীরা ডিআরডিসির সামনে বসে অবস্থান করল তখন কেন ব্যবস্থা নিলেন না?” তিনি আরও প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “আইসি’কে হেনস্থার পরেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” পুলিশ সুপার অবশ্য সেখানেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই জায়গা থেকে ক্যাম্প সরাতেই হবে। প্রয়োজনে তিনি জেলাশাসক তথা নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি লিখে ওই দাবি করবেন। রবীন্দ্রনাথ বলেন, “প্রত্যেক নির্বাচনের সময় ওই জায়গাতেই আমাদের ক্যাম্প অফিস হয়। এ বারেও করা হয়। এ বারে পুলিস সুপার আইন ভেঙে ক্যাম্প অফিস সরিয়ে দিয়েছে।”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রশাসন সূত্রের খবর, গণনাকেন্দ্রের সামনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেই এলাকা ছেড়ে শাসক ও বিরোধী তাদের একাধিক ক্যাম্প অফিস তৈরি করে। তৃণমূলের একটি ক্যাম্প অফিস ১০০ মিটারের ঠিক পরেই করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, ওই ক্যাম্প অফিস থেকে দলের কর্মীরা যে কোনও সময় ১৪৪ ধারার ভিতরে ঢুকে যেতে পারেন। তা নিয়ে বড় কোনও গন্ডগোল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নিতে চান না তাঁরা। এ জন্যেই পুলিশ সুপার ওই ক্যাম্প সরিয়ে নিতে বলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE