আঁটোসাটো নিরাপত্তায় এ বার লোকসভা ভোট করাতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। সরকারি সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি শহর এবং লাগোয়া এলাকার জন্যই শুধুমাত্র বরাদ্দ হয়েছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দার্জিলিং এবং কালিম্পং পাহাড়ের জন্য থাকছে আরও অন্তত ২০ কোম্পানি। সেই সঙ্গে বাইরের জেলা থেকে শহরের জন্য আসছে ২৬ কোম্পানি রাজ্য পুলিশের ফোর্স। সোমবার ওই নির্দেশ কমিশনারেটে এসেছে। মঙ্গলবার থেকে কমিশনের নির্দেশে বাহিনীকে রাখার তৎপরতা শুরু কমিশনারেটে। বিভিন্ন ভবন, স্কুল-কলেজের ভবন থেকে বেসরকারি লজ রাখা শুরু হয়েছে। ব্যবস্থা শুরু হয়েছে গাড়িরও। আগামী শুক্রবার থেকে দফায় দফায় ফোর্স শিলিগুড়িতে ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজেপি নেতারা বলছেন, মানুষ নিজের ভোট দিলেই রাজ্যে গেরুয়া ঝড় উঠবে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেন জেলা পুলিশ-প্রশাসন নয়, কমিশনের তত্ত্বাবধানে থাকে, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি ওই নেতাদের। তৃণমূলের দাবি, এ বার মানুষ উন্নয়ন, দেশকে মোদীমুক্ত করার ভোট দেবে। সেনা, আধা সেনা, পুলিশ এ সব নির্বাচনের অঙ্গ।
এ বার মাসখানেক আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর হিসেব পাঠানো হয়। তবে শেষ সময়ে আরও ৫-১০ কোম্পানি বাহিনী কমিশন চেয়ে পাঠাতে পারে বলে সূত্রের খবর। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্র ১১ এপ্রিল ভোট। তার পরে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে ওই অতিরিক্ত ফোর্স আসতে পারে। তারা আগের ফোর্সের সঙ্গে ‘এরিয়া ডমিনেশন’, বুথের নজরদারি এবং স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন হয়ে যাবে। কমিশনের নির্দেশে জেলা নিবার্চনী আধিকারিক এবং পুলিশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে। লোকসভা পর্যবেক্ষক তাতে নজর রাখবেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এখনও অবধি শিলিগুড়ি শহরে কমিশনের যা হিসেব এসেছে, তাতে সবচেয়ে বেশি ফোর্স দেওয়া হচ্ছে শিলিগুড়ি মূল শহরেই। সেই তুলনায় এনজেপি, ভক্তিনগর বা মাটিগাড়ার মতো এলাকায় এখন কম বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, বাহিনীর নেতৃত্বে বাড়তি রাজ্য পুলিশ ফোর্স কাজ করবে। থানা-ফাঁড়ির পুলিশ ফোর্স নিজেদের এলাকার আইনশৃঙ্খলা এবং ভোটের তদারকি করবে। মূল শিলিগুড়ি শহরে অন্য জায়গার থেকে ২ কোম্পানি ফোর্স বাড়তি থাকছে। এই ফোর্স প্রয়োজনে অন্য প্রান্তেও যাবে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘এ সব কমিশনের বিষয়। মানুষ যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেন, তা আমরা দেখব।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেছেন, ‘‘পুলিশের হেফাজতে বাহিনীকে রাখার মানেই হয় না। প্রয়োজনে কমিশনে দরবার করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy