অসহায়: মালদহ মেডিক্যালের মর্গের সামনে মৃতের পরিবারের লোকজন। নিজস্ব চিত্র
কোথাও ছেলেধরা সন্দেহে, কোথাও চোর সন্দেহে গণপ্রহার। বছরখানেক আগে মালদহের বিভিন্ন জায়গায় ঘটছিল গণপ্রহারের ঘটনা। যদিও পুলিশ সক্রিয় হতেই কমছিল এ সব। আবার সেই মালদহেই বুধবার রাতে ঘটল গণপ্রহারের ঘটনা। পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়িতে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল সঞ্জয় আহেরি (৩৭) নামে এক যুবকের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে এনে ওই যুবককে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বাঁধা হয়। তারপর লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও হাঁসুয়া দিয়ে কোপায়ে তাঁরই কয়েকজন প্রতিবেশী। অত্যাচারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সঞ্জয়ের। লোকসভা ভোটের মুখে ফের গণপ্রহারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তরজাও শুরু হয়েছে। এর পিছনে একটি চক্র কাজ করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
জেলায় গত বছর জুন মাস থেকে শুরু হয় গণপ্রহারের মতো ঘটনা। ছেলেধরা সন্দেহে চলেছিল গণপ্রহার। যদিও কোথাও ছেলে চুরির ঘটনা সামনে আসেনি। তবে ছেলেধরা সন্দেহে লাগাতার গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল জেলায়। হবিবপুর, পুরাতন মালদহ এবং ইংরেজবাজার শহরেও সেই ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি, হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীতে ছেলেধরা সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে খুঁটিতে বেঁধে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। তারপরেই টনক নড়ে পুলিশ প্রশাসনের। ঘটনার পর থেকেই গ্রেফতার শুরু করে পুলিশ। আর প্রশাসনের তরফে শুরু হয় সচেতনতামূলক প্রচার।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গণপ্রহারের মতো ঘটনা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতে বিজেপির কৌশল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের কার্যকরী জেলার সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। তারা চায় এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠুক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির নেতা-কর্মীরাই ছেলেধরার গুজব তুলেছিল।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তৃণমূলের উপরে দায় চাপিয়ে বিজেপির জেলা নেতা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এমন ঘটনার পিছনে তৃণমূলেরই হাত রয়েছে। কারণ গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটিয়ে দিয়ে আমাদের কর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy