—প্রতীকী ছবি
ভোটের আগে টাকার অবৈধ লেনদেন রুখতে নজরদারির দায়িত্বে থাকা সরকারি দলগুলির সব সদস্যের নাম এবং ফোন নম্বর চাইলেন কমিশনের পর্যবেক্ষক। জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে হিসেব সংক্রান্ত বিষয়ে দেখভালের জন্য সপ্তাহখানেক আগেই কমিশনের পর্যবেক্ষক পৌঁছেছেন। ভারতীয় রাজস্ব সার্ভিস অফিসার শ্রীনিবাস রাও ভানা দিন দুয়েক আগে প্রশাসনের কাছে এই নামের তালিকা চেয়েছেন।
লোকসভা বা বিধানসভা, যে কোনও ভোটের আগে থেকেই রাস্তায় নাকা তল্লাশি শুরু হয়। পুলিশ নিয়ে এই তল্লাশি চালায় খরচ সংক্রান্ত নজরদারির সেল। নিয়ম মতে, ভোটের সময়ে পঞ্চাশ হাজার টাকার থেকে বেশি নগদ সঙ্গে থাকলে তার পক্ষে বৈধ কাগজপত্র থাকা আবশ্যিক। সে সবই খতিয়ে দেখা এই দলগুলির প্রধান কাজ।
গত কয়েক দিনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে এই দলটি। প্রশাসনের একাংশের দাবি, এর আগের বিভিন্ন ভোটে হিসেব সংক্রান্ত বিষয়ে দেখভালের জন্য কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক নাকা তল্লাশি সংক্রান্ত সব রিপোর্ট সংগ্রহ করতেন। তবে কারা নাকা তল্লাশি করছে, পৃথক ভাবে তাঁদের সকলের নাম, নম্বর আগে কখনও তলব করা হয়নি। সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি, শুধু রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে সকলের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলে তথ্য জানতেই নাম-নম্বর তলব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মনোনয়ন জমা শুরু হওয়ার আগেই জেলায় পৌঁছেছিলেন ব্যয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক। সাধারণ পর্যবেক্ষক বা পুলিশ পর্যবেক্ষকেরা এখনও জেলায় পৌঁছননি। তার আগে ব্যয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষকের আসাটাও নজিরবিহীন। পর্যবেক্ষক এসে প্রথমে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পর লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি এলাকা ঘুরে দেখেন। যে সব এলাকায় নাকা তল্লাশি হচ্ছে, সেই সব জায়গায় তিনি নিজে গিয়ে দেখে এসেছেন। তার পরই সকলের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
অবৈধ লেনদেনে নজর রাখতে প্রশাসনের থেকে নাকা তল্লাশি দল (স্ট্যাটিক সারভিলেন্স টিম) গঠন করা হয়। প্রতিটি বিধানসভাভিত্তিক দল তৈরি হয়েছে. লোকসভা কেন্দ্রে কমবেশি ২১টি দল নাকা তল্লাশি চালাচ্ছে বলে দাবি। এক একটি দলের ৪-৫ জন করে সরকারি কর্মী রয়েছেন। এঁদের সকলের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন পর্যবেক্ষক। প্রয়োজনে সকলের সঙ্গে যাতে আলাদা ভাবে যোগাযোগ করা যায়, সে জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও চাওয়া হয়েছে। জেলার এক সরকারি কর্মীর কথায়, “কতটা নিখুঁত ভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে নজরদারি করতেই মনে হয় সকলের তথ্য চাওয়া হয়েছে।”
জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতর, নির্বাচন সেলের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পর্যবেক্ষক। স্থানীয় সব বৈদ্যুতিন চ্যানেলে চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দল কত খরচ করছে, তার ওপরেও নজরদারি শুরু করেছেন পর্যবেক্ষক। তাই স্থানীয় বৈদ্যুতিন চ্যানেলের বিজ্ঞাপনের উপর নজরদারি করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy