Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
কোথাও বাধা, কোথাও নেই, সীমান্তে জীবন যে রকম

কাঁটাতারের বেড়া চাইছেন বাসিন্দারাই

স্থানীয় বাসিন্দা মনোহর রায় জানান, ফাঁসিদেওয়া সীমান্ত এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তেমন নেই।

কাঁটাতারের বেড়া বসানো হবে এখানেই। নিজস্ব চিত্র

কাঁটাতারের বেড়া বসানো হবে এখানেই। নিজস্ব চিত্র

নীতেশ বর্মণ
ফাঁসিদেওয়া শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১৫
Share: Save:

লোকসভা ভোটের আগে নিরাপত্তা বাড়ল বাংলাদেশ সীমান্তের শিলিগুড়ি মহকুমা এলাকায়। ভোটের কয়েকদিন সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দারা নিশ্চিন্তে দিন কাটায়। ভোট গেলেই আবার রমরমা মহানন্দা নদীর সীমান্তের ‘কারবার’।

গত সোমবার থেকে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের গ্রামের রাস্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। রাতে অতিরিক্ত বিএসএফ জওয়ান মোতায়ন করা হয়। সে কারণে ভোটের আগে গ্রামের বাসিন্দারা অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতেন বলে দাবি। ফাঁসিদেওয়া থেকে চটহাট সীমান্তের এলাকাটি মহানন্দার পাশে অবস্থিত। চটহাটের মুড়িখাওয়া এলাকার কয়েকটা জায়গায় কাঁটাতার নেই। তবে মহানন্দা নদীর জন্য ধনিয়ামোড় থেকে ফাঁসিদেওয়া প্রায় আড়াই কিলোমিটার ফাঁকা। সম্প্রতি ওই এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ফাঁকা জায়গা দিয়েই গরু পাচার থেকে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা, বিভিন্ন অসামাজিক কাজ হয়। বাসিন্দারা জানান, নদী থেকে বালি চুরি হয়, ওপারের দুষ্কৃতীরা এপারে আসে। এই এলাকায় বাড়িতে চুরি ঘটনা এবং বিএসএফের ম্যানপ্যাক ছিনতাই অনেকটাই বেড়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। বেড়েছে অনুপ্রবেশের ঘটনাও।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওপারে অনেকের চাষের জমি রয়েছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে সেখানে কড়াকড়ি বেড়ে যায়। সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় সীমান্তের গেটও। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সালেম জানান, ভোটের সময় সীমান্তে কড়া নজর থাকে। ওপারে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রেও নিয়ম মানতে হয়। সালেম বলেন, ‘‘তাতেও কিন্তু শান্তি রয়েছে। ভোটের কয়েকদিন তেমন আতঙ্ক নেই। সারা বছর চলুক এরকম নিরাপত্তা।’’ তাতে সীমান্তের বাসিন্দারা আরও শান্তিতে থাকতে পারবেন বলে তাঁর দাবি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

স্থানীয় বাসিন্দা মনোহর রায় জানান, ফাঁসিদেওয়া সীমান্ত এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা তেমন নেই। ভোট প্রচারেও রাজনৈতিক দলগুলিকে তেমন দেখা যায় না। শুধু বাজারে রাজনৈতিক দলগুলির দু’-একটি ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন চোখে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শান্তিতে ভোট দেন তাঁরা। ভোট শেষ হলেই আবার সীমান্তে পাচারকারীদের রমরমা বেড়ে যাবে।

বর্ষায় ভরবে মহানন্দা। ফাঁকা জায়গায় এখনও কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শেষ হয়নি। সীমান্ত এলাকা থাকবে সেই তিমিরেই। স্থানীয় মহকুমা পরিষদ সদস্য আইনুল হক বলেন, ‘‘কাঁটাতারের কাজ শেষ হলে অনেক সমস্যা মিটবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE