Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিধিভঙ্গে এগিয়ে শাসক দল, নালিশ

সরকারি সম্পত্তিতে ভোট প্রচার কমিশনের পুরোপুরি নিষিদ্ধ। শহরে সরকারি সম্পত্তিতে প্রচার চালানোর অভিযোগেও শীর্ষে তৃণমূল।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৫২
Share: Save:

ওয়াল ‘দখলে’ এগিয়ে তৃণমূল। সেই সঙ্গে জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে বিধিভঙ্গের অভিযোগেও বিরোধীদের ঢের পেছনে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দল। প্রশাসন সূত্রের খবর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রায় ছ’হাজার বিধিভঙ্গের মামলা দায়ের হয়েছে। এ গুলি সবই সরকারি এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে অনুমতি ছাড়া প্রচার করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই লেখা মোছা হয়েছে, অথবা হোর্ডিং খুলে দেওয়া হয়েছে। বিধিভঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। তার পরে সিপিএম এবং কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনের মোবাইল অ্যাপলিকেশন সি-ভিজিল ছাড়াও প্রশসানের কাছে সরাসরি ওই অভিযোগগুলি এসেছে। কারা অভিযোগ করেছেন সেই তালিকা গোপন রেখেছে প্রশাসন।

কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও দেওয়ালে ভোট প্রচার করে লেখা হলে তার অনুমতি নিতে হয়। কমিশনের তৈরি করা নির্দিষ্ট ফর্মে অনুমতি নিতে হয়। অভিযোগ, বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল সে সব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রচার করে থাকে। হয়তো কারও বাড়ি দেওয়াল নতুন রং হয়েছে, তার ওপরেই চুন লেপে প্রতীক একে প্রচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ‘ঝামেলা’র মুখে পড়ার আশঙ্কায় গৃহকর্তা মুখে কুলুপ এটে থাকেন বলে অভিজ্ঞতা সরকারি আধিকারিকদের একাংশের। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ বার লোকসভা ভোটের আগে ১৫৭৮ জন বাসিন্দা সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছেন। প্রতিটি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করেছে প্রশাসন। বিজেপির বিরুদ্ধে ৮৫৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কংগ্রেস এবং সিপিএম তুলনায় কম।

সরকারি সম্পত্তিতে ভোট প্রচার কমিশনের পুরোপুরি নিষিদ্ধ। শহরে সরকারি সম্পত্তিতে প্রচার চালানোর অভিযোগেও শীর্ষে তৃণমূল। প্রায় চার হাজার অভিযোগ দায়ের হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির বিরুদ্ধে আড়াই হাজার অভিযোগ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, “কমিশনের নির্দেশেই যাবতীয় পদক্ষেপ হয়েছে। কমিশন রিপোর্ট চেয়েছিল, তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তৃণমূল বা বিজেপি কেউই বিধিভঙ্গের অভিযোগের কথা সরাসরি স্বীকার করেনি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর দাবি, বিধি ভেঙে কোনও প্রচার চালানো হয়নি। বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি গোস্বামীর পাল্টা দাবি, “তৃণমূল নিজেরা আইন ভেঙে আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে।” বিজেপির আরও দাবি, দেওয়াল লেখার অনুমতি দিয়েও তৃণমূলের হুমকিতে গৃহকর্তা নালিশ জানিয়েছেন এমনও হয়েছে।

আজ কোথায় কোথায় ভোট, দেখে নিন

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিধিভঙ্গের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের পৃথক সেল রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সেল কাজ করছে। রাতেও জেলা কন্ট্রোল রুমে ছ’জন কর্মী অভিযোগ শোনার জন্য থাকছেন বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE