বিন্নাগুড়িতে কাছে মিলেছে চিতাবাঘের ছবি। নিজস্ব চিত্র
ভোটকেন্দ্র থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ঘুরছে চিতাবাঘ। বুনো হাতি, বাইসন চলে আসাটাও কোনই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এরই মাঝে চা বাগানের ভেতরে রাখা ট্র্যাপ ক্যামেরাগুলো থেকেও একের পর এক চিতাবাঘ ঘুরে বেরানোর ছবি মিলতে শুরু করেছে। এমন এলাকাতে চা বাগান এবং জঙ্গল লাগোয়া বুথগুলোতে ভোটকর্মীদের পরামর্শ দেবেন বনকর্মীরা।
গত দু’মাস ধরে পালাবদল করে ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানে ট্যাপ ক্যামেরা লাগাচ্ছে একটি সংস্থা। সেই সংস্থা বাগানের বসতি এলাকা এমনকি ভোটকেন্দ্রের কাছেও চিতাবাঘের ছবি পেয়েছে। কার্যত বন্যপ্রাণ মানুষ সংঘাত রোধ করতেই এই ব্যবস্থা বলে জানান সংস্থার প্রধান কর্মকর্তা অরিত্র ক্ষেত্রি।
অরিত্রবাবু বলেন, “ভোটকর্মীরা যেহেতু এই এলাকাতে প্রথমবার আসছেন তাই তাদের বাড়তি কিছু পরামর্শ মেনে চলতেই হবে।” কী সেই পরামর্শ? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাতে ভোটকর্মীরা সাধারণত কাগজের থালায় বা ফয়েলে খাবার খান অনেকে খাবার সঙ্গে নিয়েও আসেন। সেই খাবার ভোট কেন্দ্রের বাইরে ফেলে রাখলে তা বিপদ ডেকে আনতে পারে। কুকুর যদি সেই খাবার খেতে আসে তাহলে কুকুর যেহেতু চিতাবাঘের খাদ্যতালিকায় পছন্দের মধ্যে পড়ে, তাই চিতাবাঘও কুকুরের পিছু নিয়ে ভোটকেন্দ্র অবধি আসতেই পারে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
উপদ্রুত বুথগুলোতে আজ বুধবার বিকেলে ভোটকর্মীরা পৌঁছে যাবার পরই বনকর্মীরাও সেখানে যাবেন। রাতে কী করতে হবে আর কী করা যাবে না তা বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা। বন্যজন্তু দেখলেই জরুরিভিত্তিতে খবর দেবার জন্যে ফোন নম্বরও দিয়ে আসবেন তাঁরা। ভোটকেন্দ্রের বাইরে বনকর্মীরা বিশেষ নজর রাখবেন বলে জানান, খুনিয়া বন্যপ্রাণ স্কোয়াডের রেঞ্জার রাজকুমার লায়েক জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy