অপেক্ষা: নতুন আধার কেন্দ্রের সামনে ভিড়। মালদহে। নিজস্ব চিত্র
আধার কার্ড সংশোধনে সাধারণ মানুষের হয়রানি মেটাতে ‘আধার সংশোধনী কেন্দ্র’ চালু করল মালদহ জেলা প্রশাসন। সোমবার মালদহের গ্রামোন্নয়ন ভবনে ওই কেন্দ্র চালু হয়। প্রথম দিনেই কার্ড সংশোধনে ভিড় জমালেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।
মালদহের একপ্রান্তে বাংলাদেশ সীমান্ত, অন্য দিকে বিহার ও ঝাড়খণ্ড। এনআরসি, সিএএ-র জেরে তাই আরও বেশি আতঙ্কে সীমান্তঘেঁষা মালদহের বাসিন্দাদের একাংশ। কাজ ফেলে অনেকে ব্যস্ত হয়েছেন নাগরিকত্বের নথি সংগ্রহে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মালদহ আদালতে ভিড় বাড়ছে ১৭৭১ সালের ভোটার তালিকা সংগ্রহে। তেমনই চলছে আধার কার্ড সংশোধনের হিড়িক।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী জেলায় প্রায় ৪০ লক্ষ লোকের বসবাস। এখন সেই সংখ্যা আরও বেড়েছে। আধার কার্ডের প্রায় ৩০ শতাংশে ভুল রয়েছে। কারও নামের বানান ভুল, কারও জন্মতারিখ নেই, ভুল রয়েছে বাবার বা গ্রামের নামেও।
আধার কার্ড সংশোধনে ব্যস্ত সাধারণ মানুষ। মালদহের বেশ কিছু ব্যাঙ্কে আধার কার্ড সংশোধনের কাজ হচ্ছে। সেই ব্যাঙ্কগুলিতে রাত থেকেই লাইন পড়ছে। কোথাও কোথাও কোলের শিশুকে নিয়েও অনেকে দাঁড়িয়েছেন আধার সংশোধনের লাইনে।
জেলার মানুষের সেই হয়রানি রুখতেই জেলা প্রশাসন আধার কার্ড সংশোধনী কেন্দ্র চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তিনটি কম্পিউটারে চলবে আধার কার্ড সংশোধনের কাজ। প্রয়োজনে কম্পিউটারের সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে। প্রতি দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলবে আধার কার্ড সংশোধনের কাজ।
সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের দাবি, দিনে দেড়শো করে আধার কার্ড সংশোধন করা হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে সেই কাজ করা হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে বিশেষ কাজের জন্য ৩০-৫০ টাকা করে নেওয়া হবে।
মোথাবাড়ির বাসিন্দা রফিকুল হক বলেন, “আধার কার্ডে বাবার নাম ভুল রয়েছে। জন্মতারিখ নেই। ঠিক করার জন্য ব্যাঙ্কে ঘুরছিলাম। প্রশাসনের তরফে ওই কেন্দ্র চালু করায় সাধারণ মানুষের হয়রানি অনেক কমবে।’’
মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘‘জেলার বাসিন্দাদের সুবিধায় ওই কেন্দ্র খোলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy