Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিকেল বেলার মিরিকে জনগর্জন

এর পরে একে একে রাস্তা, এলইডি আলো, পানীয় জলের প্রকল্প-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বরাদ্দ করলেন মমতা। এবং একই সঙ্গে নাম না করে আক্রমণ করলেন বিমল গুরুঙ্গদের। বললেন, ‘‘এত বড় মিথ্যেবাদী দেখিনি। সুবাস ঘিসিঙ্গও এমন ছিলেন না।’’

মিরিকে সোমবার জনসভার মঞ্চে নয়া কাউন্সিলরদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

মিরিকে সোমবার জনসভার মঞ্চে নয়া কাউন্সিলরদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

কিশোর সাহা
মিরিক শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ০৩:৪৭
Share: Save:

বিকেলে মেঘের আড়ালে চলে গিয়েছিল পাহাড়ি রাস্তা, পাইন বন। কিন্তু একটা ঝোড়ো হাওয়ায় মেঘের চাদর সরতেই উল্লাসে গর্জে উঠল মিরিক। সোমবার সন্ধ্যা অবধি তা আর থামতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

থামবে কী করে? মুখ্যমন্ত্রী তো মিরিকের জন্য পরের পর ঘোষণা করে চলেছেন তখন। ভোটের আগে তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি ছিল, জিতলে সবাইকে পাট্টা দেওয়া হবে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই জানালেন, ২৫৮২টি পরিবারকে পাট্টা দেবে মিরিকের নতুন পুরসভা। এবং এই কাজের জন্য তিনি মেয়াদও বেঁধে দিলেন, এক মাস। যা শুনে পাহাড়ের লোকজন বলছেন, এটা আসলে বিমলের জন্য চ্যালেঞ্জ।

এর পরে একে একে রাস্তা, এলইডি আলো, পানীয় জলের প্রকল্প-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বরাদ্দ করলেন মমতা। এবং একই সঙ্গে নাম না করে আক্রমণ করলেন বিমল গুরুঙ্গদের। বললেন, ‘‘এত বড় মিথ্যেবাদী দেখিনি। সুবাস ঘিসিঙ্গও এমন ছিলেন না।’’ বললেন, ‘‘আমি সবার জন্য করি। পাহাড়ের জন্যও। কিন্তু কেউ যদি আমাকে চমকায়, আঘাত করতে চায়, আমি কিন্ত প্রত্যঘাত করি।’’

পাহাড় নিয়ে বরাবর আবেগপ্রবণ মমতা। এ দিনও সেটা বোঝা গেল, যখন জানালেন, ‘‘আমি মিরিককে মডেল করতে বলেছি। তা হবে। এক মাস পরে জিটিএ-র মেয়াদ শেষ হবে। আমাকে জিটিএ দিন, কাজ করে দেখিয়ে দেব।’’

তাঁর আবেগ ছড়িয়ে গেল উপস্থিত জনতার গর্জনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE