Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বুলবুলের জন্য দেরিতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী

আজ, সোমবার শুরু হবে কোচবিহার রাসমেলা। কিছুদিন আগে শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় মুখ্যমন্ত্রীকে রাসমেলায় যোগ দেওয়ার আবেদন জানান।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৯ ০৫:৫২
Share: Save:

সেজে উঠেছে মন্দির। মেলার মাঠে কাজের চূড়ান্ত ব্যস্ততা। সাজিয়ে তোলা হয়েছে সার্কিট হাউস। নিরাপত্তা নিয়েও দফায় দফায় বৈঠক চলছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ছেড়ে এই মুহূর্তে তিনি উত্তরবঙ্গ সফরে যেতে পারছেন না। সে জন্যেই ১৩ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর কোচবিহার রাসমেলায় যোগ দেওয়া হবে না। ওই দিন তিনি উত্তর চব্বিশ পরগণার ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন। তার আগেই ত্রাণ ও পুণর্বাসন নিয়ে কাকদ্বীপে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে টেলিফোনে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। বিনয় বলেন, “আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী আসবেন। এই সময় বিপর্যয় হওয়ার কারণে তাঁকে সেখানকার মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হয়েছে।”

আজ, সোমবার শুরু হবে কোচবিহার রাসমেলা। কিছুদিন আগে শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূলের কোচবিহার জেলা কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় মুখ্যমন্ত্রীকে রাসমেলায় যোগ দেওয়ার আবেদন জানান। দিন কয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কর্মসূচির কথা জানিয়ে দেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, ১২ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাঁর বাগডোগরা হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছনোর কথা ছিল। ১৩ নভেম্বর দুপুর দেড়টা নাগাদ হেলিকপ্টারে কোচবিহারে পৌঁছতেন তিনি। ওই দিন রাসমেলায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল। ১৪ নভেম্বর রাজবাড়ি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি দলীয় সভা সেরে শিলিগুড়ি হয়ে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁর। সে মতোই কোচবিহার পুরসভা রাসমেলা দু’দিন পিছিয়ে দিয়েছিল। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফের নির্ধারিত সময়েই রাসমেলা শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ভুষণ সিংহ বলেন, “বড় বিপর্যয় হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মেলায় নির্ধারিত সময়ে আসতে পারছেন না। তবে পরে তিনি অবশ্যই রাসমেলায় যোগ দেবেন বলে আশা করছি।”

মুখ্যমন্ত্রীর সফর আপাতত স্থগিত হলেও প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না কেউ। রাসমেলার মাঠে পরিকাঠামো তৈরির কাজ জোর কদমেই চলছে। যদিও এখনও একটি বড় অংশ ফাঁকা রয়েছে। সাধারণত মেলা শুরু হওয়ার তিন থেকে চারদিন যাওয়ার পরেই মেলা জমতে শুরু করে। এবারে মুখ্যমন্ত্রী আসার খবরে অবশ্য প্রত্যেকেই আশা করেছিলেন, মেলা শুরুর দু’দিনের মধ্যেই জমে উঠবে।

এ ছাড়া মেলার মাঠের ভিতরেও চওড়া রাস্তা, নিরাপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে জোরকদমে। মদনমোহন মন্দিরও আলো ও ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই দলীয় বৈঠক নিয়েও প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। রবিবারই দলের কর্মীদের একটি অংশকে নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্য়করী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে বহু মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা সামলে তিনি আসবেন মেলার। আমরা অপেক্ষা করব। তাঁর কাজ আমাদের অনুপ্রাণিত করে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Bulbul
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE