ফাইল চিত্র
কাজ চলছিল তড়িৎ গতিতে। একের পর এক রিপোর্ট তৈরি হচ্ছিল। কারও যেন দম নেওয়ার ফুরসত মিলছিল না। যদি কোথাও ভুলত্রুটি থেকে যায়, তা নিয়েও চাপ ছিল। ঠিক এমন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফর এক সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। প্রশাসনিক সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে শুধু প্রশাসনিক নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও একই স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। দলীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন ধরে বেড়ে চলা দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে এ বারের সফরে চেপে ধরতে পারেন, সে আশঙ্কা রয়েছে নেতাদের। সম্প্রতি কলকাতার বৈঠকেও নানা ঘটনা ঘটেছে। এই অবস্থায় সাতদিনের সময় তাঁদের কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক।
আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়ি পৌঁছনোর কথা ছিল। ২২ ও ২৩সেপ্টেম্বর উত্তরকন্যায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। সম্প্রতি সেই খবর পৌঁছনোর পরেই জেলা প্রশাসনের অন্দরে সেই বৈঠক নিয়ে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়। এ বছর একশো দিনের কাজে নজর কেড়েছে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার। একশো দিনের কাজে কোচবিহার দেশের মধ্যে সেরার শিরোপা পেয়েছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পেও রাজ্যের মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলা সেরা হয়েছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের আগে বাকি সরকারি প্রকল্পের কাজ যতটা সম্ভব এগিয়ে রাখতে মরিয়া ছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। ছুটির দিনও বিভিন্ন দফতর খোলা রেখে কাজ করছিলেন আধিকারিক ও কর্মীরা।
রবিবার জেলা প্রশাসনের কাছে খবর পৌঁছয়, মুখ্যমন্ত্রীর সফর দিন কয়েক পিছিয়ে যাচ্ছে। আর তাতেই কার্যত স্বস্তিতে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর উত্তরবঙ্গ সফরে পৌঁছবেন তিনি। আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “এর ফলে অর্ধসমাপ্ত থাকা সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে অতিরিক্ত আরও কিছুদিন সময় পাওয়া যাবে। আমরা আরও ভাল করে প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দিতে পারব।” আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা অবশ্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।” কোচবিহার জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য আমরা সব সময়ে প্রস্তুত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy