প্রতীকী ছবি।
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ঘিরে গুলিচালনোর অভিযোগ মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের গহমাবাদে। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যুও ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও এক মহিলাও। রবিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে এলাকার কবরস্থানের কাছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম মাসিদুর রহমান (২২)। বাড়ি ওই এলাকাতেই। আহত মহিলাকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গুলি তাঁর ঘাড় ছুঁয়ে গিয়েছে। তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন নিহত মাসিদুরের মামা মনিরুল হক। মাসিদুরের বাবা নাইমুল হক এলাকায় সক্রিয় কংগ্রেস কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। মনিরুলের মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে চাপ দেওয়ার জন্য তাঁর বাবা নাইমূলকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পায়ে গুলি করেছিল বলে অভিযোগ। নাইমূল কলকাতায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার পর ফিরলেও এখনও ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। নির্বাচনের দিন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মনিরুলকেও মারধর করে বলে অভিযোগ।
নির্বাচনে জেতার পর মনিরুল তৃণমূলে যোগ দেন। তবে নাইমূলকে গুলি করা নিয়ে নব্য তৃণমূল এবং পুরনো তৃণমলীদের মধ্যে কোন্দল চলছিলই বলে দলের এক সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর পরে এদিন স্থানীয় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কবরস্থানে যায় তৃণমূলের দুই পক্ষের লোকজন। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তার পরেই কবরস্থান লাগোয়া এলাকায় দুই পক্ষ একে অপরকে লক্ষ করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিস্দাদের দাবি, ব্যাপক হারে দুই পক্ষ গুলি ছুড়তে থাকে। ভয়ে অন্যান্য লোকজন দৌড়ে পালাতে শুরু করে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মাসিদুর। তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy