গ্রেফতারের পরে মানস ভৌমিক। ছবি: সন্দীপ পাল।
এ বার সিআইডির জালে চন্দনা চক্রবর্তীর ভাই মানস ভৌমিক৷ টানা কয়েক ঘণ্টা জেরার পর এ দিন সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি৷ সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, শিশু পাচার চক্রে সরাসরি যুক্ত থাকার পাশাপাশি মানসের বিরুদ্ধে এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে৷ এ দিন মানসের বাড়ি থেকে প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি৷
গত শনিবার গ্রেফতার হন চন্দনা। তার পর থেকে যাঁদের উপর নজর রাখছিলেন গোয়েন্দারা, সেই তালিকায় রয়েছেন মানস। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ভূমি রাজস্ব দফতরের অধীনে ভূমি সহায়ক পদে চাকরি করেন তিনি৷ অনেক দিন ধরে জেলার নানা সরকারি অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করতে দেখা যায় তাঁকে৷ প্রশাসনের অনেক বড় কর্তার সঙ্গে প্রায়শই নানান মঞ্চে দেখা যেত তাঁকে৷ যার সুবাদে প্রশাসনের কর্তাদের কারও কারও সঙ্গে তার বেশ ঘনিষ্ঠতাও ছিল বলে জানা যায়৷ বিভিন্ন জায়গায় মানস নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দিতেন বলেও জানা গিয়েছে৷
সিআইডি সূত্রের খবর, চন্দনার গ্রেফতারির পরেই তাঁরা জানতে পারেন, মানসও এই শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত৷ এর পরেই মানসকে ঘিরে জাল গোটাতে শুরু করেন তাঁরা। এ দিন চার নম্বর গুমটির কাছে হোমের অফিসে দু’দলে ভাগ হয়ে হানা দেয় সিআইডি। একটি দল বাড়িতে থাকা চন্দনার হোমের ফাইলপত্র পরীক্ষা শুরু করে। অন্য দলটি মানসকে জেরা করতে শুরু করে৷ বিকেলে বাড়ি থেকে মানসের এক আত্মীয়াকে নিয়ে সিআইডি বিমলা শিশু গৃহে যায়৷ সেখান থেকেও কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করে তারা। এর পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় মানসকে নিয়ে যাওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। সওয়া আটটা নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy