Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

ভ্যাকসিনে ‘রাজি’ নন অনেকেই, চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের একটি অংশে ভ্যাকসিন নিয়ে সংশয় রয়েছে। অনেকেই প্রথম দফায় ভ্যাকসিন নিতে রাজি হচ্ছেন না।

প্রতীক্ষার অবসান: পৌঁছল ভ্যাকসিন। কোচবিহারে সিএমওএইচ (২) দফতরে। (ডানদিকে) আলিপুরদুয়ারে সিএমওএইচের নতুন দফতরে। বৃহস্পতিবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব ও নারায়ণ দে।

প্রতীক্ষার অবসান: পৌঁছল ভ্যাকসিন। কোচবিহারে সিএমওএইচ (২) দফতরে। (ডানদিকে) আলিপুরদুয়ারে সিএমওএইচের নতুন দফতরে। বৃহস্পতিবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব ও নারায়ণ দে।

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ০১:৪০
Share: Save:

ড্রাই রান হয়েছে। জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছেও গিয়েছে। শনিবার থেকে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। তা নিয়েও প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মোবাইলে এসএমএস যাবে। সেই নামের তালিকা ধরে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। এসএমএস পাওয়া সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসকরা কি ভ্যাকসিন নিতে হাজির হবেন চিকিৎসাকেন্দ্রে? তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকদের একটি অংশে ভ্যাকসিন নিয়ে সংশয় রয়েছে। অনেকেই প্রথম দফায় ভ্যাকসিন নিতে রাজি হচ্ছেন না। কেউ কেউ নানা অজুহাতে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আরেকটি অংশ অবশ্য এই বিষয়ে উৎসাহী। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অবশ্য সবাইকে বোঝাতে চেষ্টা করা হচ্ছে। কোচবিহারের সিএমওএইচ রঞ্জিত ঘোষ ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য দফতরের কোচবিহার জেলার এক আধিকারিক বলেন, “কিছু প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে। সে সবের উত্তর দেওয়া হচ্ছে। তাতে কাজও হচ্ছে।”

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়ে প্রস্তুতি গত দেড় মাস ধরেই নিতে শুরু করেছে কোচবিহার স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন। কয়েক দফায় বৈঠক হয়েছে। সে ভাবেই জেলার সমস্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। সব মিলিয়ে সেই সংখ্যা পৌঁছয় পনেরো হাজারের আশেপাশে। কোচবিহার এম জে এন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং একাধিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ড্রাই রানেরও ব্যবস্থা করা হয়। তাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা হাজিরও হন। এই সময়েই ভ্যাকসিন নিয়ে শুরু হয় টানাপড়েন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য একাধিক কেন্দ্র রাখা হয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও শীতলখুচির একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। জেলার একাধিক কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার শিবির করা হবে। একেকটি শিবিরে ১০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতর ওই নামের তালিকা ঠিক করবে। তাঁদের মোবাইলে যাবে এসএমএস। শিবিরেও ওই নামের তালিকা পৌঁছে যাবে। চিন্তা রয়েছে সেখানেই। কারা প্রথম তালিকায় থাকবেন তা নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর চাইছে, প্রথম দিন ওই তালিকায় থাকা প্রত্যেকেই যেন ভ্যাকসিন নিতে যান। তা হলে একশো শতাংশ সফলতা পাবেন তাঁরা। সেই সংখ্যা কম হলে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, “কাউকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন হয়নি। কিন্তু নানা ভাবে বোঝানো হচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন অবশ্যই প্রয়োজন। তার পরেও কেমন ভয় ভয় করছে।” অন্য এক কর্মী অবশ্য বলেন, “ভ্যাকসিন অনেকেই নিয়েছেন। আমিও নেব। সবাইকে সুরক্ষিত রাখতেই ভ্যাকসিন নিতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Vaccines COVID-19 Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE