অর্ণত্রী সমাজদার
দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, নম্বর বাড়বেই। বার বার সে কথা মা-বাবাকে জানিয়েছিল। অবশেষে সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নেয় পুনর্মূল্যায়নের। তার পরে বৃহস্পতিবার পুনর্মূল্যায়নের ফলের খবর যখন বাড়িতে পৌঁছয়, বাড়িতে তখন আনন্দের পরিবেশ। সঙ্গে আক্ষেপও, প্রথমে এই ফল মিললে তাকে নিয়েও হইচই হত। একাদশ স্থান থেকে মাধ্যমিকে প্রথম দশে এল কোচবিহার সুনীতি অ্যাকাডেমির অর্ণত্রী সমাজদারের নাম। অষ্টম স্থান অধিকার করেছে সে। প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২। মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার সময়ে তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৭৯।
সুনীতি অ্যাকাডেমির প্রধানশিক্ষিকা মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা খুব খুশি হয়েছি যে, অর্ণত্রী অষ্টম হয়েছে। স্কুল থেকে আরও একজন মাধ্যমিকের প্রথম দশে এল। ফল প্রকাশের দিন জানতে পারলে মেয়েটি আরও আনন্দ পেত।’’
এই আক্ষেপ অর্ণত্রীর বাড়িতেও। মা সুজাতা দেবী বললেন, ‘‘মেয়ে নম্বর বাড়বে বলে বার বার জানিয়েছে। আজ খুব খুশি হয়েছি। তবে প্রথমেই যদি এই ফল পাওয়া যেত, আরও ভাল হত।’’ বাবা অরূপবাবু বলেন, ‘‘আগামীতে মেয়ে আরও ভাল ফল করবে বলে আমার বিশ্বাস।’’ বাবার মতো অর্ণত্রীও বলে, ‘‘আমার কিন্তু আনন্দ হচ্ছে। প্রথম দিন এই ফল হলে যতটা হত, তার চেয়ে বেশিই হচ্ছে।’’
মাধ্যমিকে সেরা ফল করে এ বার রাজ্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সুনীতি অ্যাকাডেমি। রাজ্যে প্রথম সঞ্জীবনী দেবনাথ ওই স্কুলেরই ছাত্রী। এ ছাড়াও আরও ৩ জন ছিল প্রথম দশে। অর্ণত্রী পঞ্চম জন, যে ওই তালিকায় ঢুকে পড়ল। ৬৭৯ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ৯৮, ইংরেজিতে ৯২, অঙ্কে ১০০, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৭, জীবনবিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৭ এবং ভূগোলে ৯৬ পায় অর্নত্রী। ইংরেজি, ভৌতবিজ্ঞান ও ভূগোলে নম্বর বাড়তে পারে বলে জানিয়ে পুনর্মূল্যায়ন করে সে। ৩ নম্বর বেড়ে ৬৮২ হয়েছে। কিন্তু এখনও স্কুলে মার্কশিট এসে পৌঁছয়নি। তাই কোন বিষয়ে নম্বর বেড়েছে, তা এখনও জানতে পারেনি সে।
তার এক আত্মীয় উত্তম কুণ্ডু বলেন, ‘‘মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার পরে নানা সরকারি ও বেসরকারি অনুষ্ঠানে সকল কৃতীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অর্ণত্রীকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে বিশ্বাস করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy