প্রতীকী ছবি।
ফের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এল এমসিআইয়ের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। আর তাঁরা পৌঁছতেই শুরু হয়ে যায় চিকিৎসকদের হাজিরা নিয়ে দৌঁড়ঝাঁপ। দেড়শো আসনের অনুমোদন মিলবে কি না মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার পরিদর্শনে তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার দফতর থেকে জানানো হয়েছিল ১৯-২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এমসিআই দল যেতে পারে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। সেই মতো চিকিৎসকদের হাজির থাকতে। কারণ এখানকার অন্তত জনা ১৫ চিকিৎসক মালদহ, বাঁকুড়া, সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেপুটেশনে কাজ করছেন। কিন্তু প্রথম দু’দিন পেরিয়ে গেলেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আসেননি এমসিআই দল। তাতেই অনেকে ধরে নেন এ যাত্রায় হয়তো আর আসছেন না তাঁরা। কিছু চিকিৎসক তাই মঙ্গলবার বিকেলে ফিরে যান। বুধবার সকালে এমসিআই দল ঢুকতেই তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। মালদহের দুই চিকিৎসক এ দিন বেলা সাড়ে চারটের মধ্যে এসে পৌঁছতে পারেননি। কয়েকজন উড়ানে কলকাতা থেকে চলে আসেন। দেড়শো আসনের অনুমোদন পেতে পর্যাপ্ত ফ্যাকাল্টি দেখাতে ডেপুটেশনে অন্যত্র চলে যাওয়া ওই চিকিৎসক এবং অধ্যাপকরাই এখন বড় ভরসা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের।
অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায় বলেন, ‘‘এমসিআই দল পরিদর্শন করছেন। এখনই কিছু বলা যাবে না।’’ গত বছর পরিদর্শনের সময় অন্যান্য পরিকাঠামোর সঙ্গে ১৩ শতাংশের ওপরে শিক্ষক চিকিৎসকের ঘাটতি ছিল। তারপরে আরও অনেক চিকিৎসক বদলি হয়েছেন। অথচ তাদের জায়গায় নতুন কেউ আসেননি। তা ছাড়া পর্যাপ্ত প্যারামেডিক্যাল, অশিক্ষক কর্মী ও নার্স না থাকা, ক্যাম্পাস এবং ওয়ার্ডের অপরিচ্ছন্নতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল এমসিআইয়ের পরিদর্শক দল। অস্বাস্থ্যকর লেবার ওয়ার্ড, একসঙ্গে ২৫০ জন পড়ুয়ার বসার সুবিধা যুক্ত পরীক্ষা হল, ইন্টারকম ব্যবস্থা না থাকার বিষয়টিও রিপোর্টে উল্লেখ করেছিলেন তাঁরা। ১৫০ আসনের অনুমোদন খারিজ করায় গত বছর থেকে ৫০ টি আসন কমে গিয়েছে। ভর্তি নেওয়া হচ্ছে ১০০ আসনে।
এ দিন এমসিআই দলে ছিলেন পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান এসএন শর্মা, তামিলনাড়ুর কোয়মবত্তূরের একটি মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান টি রবিকুমার এবং হায়দরাবাদের ওসমানিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কে দুর্গা। মেডিসিন বিভাগ, প্রসূতি বিভাগ, প্যাথোলজি বিভাগ, পরীক্ষার হল, চারটি লেকচার থিয়েটার, হস্টেলের পরিকাঠামো বিস্তারিত খতিয়ে দেখেন তাঁরা। মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের সেমিনার থাকায় তাদের নথিপত্র আগে দেখে ছেড়ে দেন। দু’টোর পর থেকে অন্য চিকিৎসকদের নথি পরীক্ষার কাজ শুরু করেন। সচিত্র পরিচয়পত্র, আধার কার্ড, প্যান কার্ড খতিয়ে দেখেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy