সফল: অদ্রিকা নাথ।
আগে দু’নম্বরের জন্য ফস্কে গিয়েছিল মেধা তালিকা। এবার এক নম্বরের জন্য। তার পরেও দেওয়ানহাট হাইস্কুলের সর্ব্বোচ্চ নম্বর প্রাপক কৃতী ছাত্রীকে নিয়ে খুশি গোটা এলাকা।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার অদ্রিকা নাথের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮২। মাধ্যমিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মেধা তালিকায় থাকা দশম স্থানাধিকারীর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। কিন্তু তাতে খুশিতে কিছু কম পড়েনি তার স্কুলের। অদ্রিকার সাফল্যের কথা তুলে ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই পোস্ট করেছেন দেওয়ানহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত পাল। স্কুলের পেজেও তা দেওয়া হয়। সেখানেও শুভেচ্ছা জানান অনেকেই। মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে ওই পোস্টটি ৩৩টি শেয়ার হয়। ৫০টির বেশি কমেন্টও হয়ে যায়।
তবে ভার্চুয়ালেই শেষ নয়। খুশির ঢেউ ছড়িয়েছে সর্বত্র, এলাকার সকলের মধ্যেই। প্রধান শিক্ষক বুধবার বলেন, “অদ্রিকার সাফল্যে আমরা দারুণ খুশি। গর্বিতও।” তিনি জানান, ২০১৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্কুলের ছাত্র লোচন শর্মা ৬৭৪ নম্বর পেয়েছিল। সেবার মেধা তালিকায় প্রথম দশের মধ্যে থাকা শেষ নম্বর ছিল ৬৭৬। ওই স্কুলেরই এক শিক্ষক, দেওয়ানহাটের বাসিন্দা অভিজিৎ সাহা বলেন, “শিক্ষক তো বটেই, দেওয়ানহাটের বাসিন্দা হিসেবে অদ্রিকার সাফল্যে বাড়তি গর্ব হচ্ছে আমার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই এলাকার বাসিন্দা হিসেবে ওকে সংবর্ধনা দেব।” তিনি আরও জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক বিষয়েও দারুণ পারদর্শী অদ্রিকা।
কোচবিহার-১ ব্লকের দেওয়ানহাটের কালীবাড়ি রোড এলাকায় অদ্রিকাদের বাড়ি। অনেকেই বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন এ দিন। অদ্রিকার কথায়, “৬৮০ নম্বরেরও বেশি আশা করেছিলাম। ভৌত বিজ্ঞান ছাড়া অন্য সব যা হিসেব ছিল সেই অনুযায়ী নম্বর পেয়েছি। র্যাঙ্ক হলে আরও বেশি ভাল লাগত।” অদ্রিকা বাংলায় ৯৯, ইংরেজিতে ৯৬, অঙ্কে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৬, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৫, ভূগোলে ৯৮ নম্বর পেয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দ্রায়ুধ দে (৬৬৭), দিগন্ত চন্দ (৬৪৭) রোহন বণিক (৬৪২), শুভম আমিন (৬৩৬), সুপ্রীতি দত্ত (৬০১) প্রমুখও একঝাঁক পরীক্ষার্থীও নজর কেড়েছে।
প্রধান শিক্ষক জানান, যাদের নিয়ে বেশি আশা করা হয় তাদের টেস্টে কড়াকড়ি করেই নম্বর দেওয়া হয়। যাতে আরও ভাল প্রস্তুতি নেয়। অদ্রিকা জানায়, টেস্টের পর ৬-৭ ঘণ্টা পড়তাম। ভবিষ্যতে সে অধ্যাপিকা হতে চায় ওই কৃতী। বাবা অমিতেশ নাথ পেশায় প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক, মা সরস্বতী নাথ গৃহবধূ। নাথ দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে অদ্রিকা বড়। অমিতেশ বললেন, “র্যাঙ্কটা অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। তাই এ নিয়ে একটু খারাপ লাগলেও ভাবতে চাইছি না। এক, দুটি বিষয় ছাড়া সব বিষয়ে মেয়ের প্রাপ্ত নম্বরে আমরা খুশি।” পরিবার সূত্রের খবর, স্কুলের সঙ্গে কথা বলে অদ্রিকার একটি বিষয়ে পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি করার ব্যাপারেও চিন্তা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy