Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কমছে পরিযায়ী, তথ্য মিলল পাখি গণনায়

 উত্তরবঙ্গের দু’টি বড় জলাশয়েই শীতের মরসুমে আসা পরিযায়ীদের সংখ্যা কমেছে।  কোচবিহারের রসিকবিল ও ডুয়ার্সের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন নারারথলি বিলে পাখি গণনার পর এমন তথ্য উঠে এসেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৪
Share: Save:

উত্তরবঙ্গের দু’টি বড় জলাশয়েই শীতের মরসুমে আসা পরিযায়ীদের সংখ্যা কমেছে। কোচবিহারের রসিকবিল ও ডুয়ার্সের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন নারারথলি বিলে পাখি গণনার পর এমন তথ্য উঠে এসেছে।

হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (ন্যাফ) তত্ত্বাবধানে বন দফতরের সহযোগিতায় ওই গণনা হয়। শুক্রবার রসিকবিলে গণনার কাজ করেন ন্যাফের সদস্যরা। পরদিন শনিবার নারারথলি বিলে পাখি গণনা হয়। ন্যাফ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক হিসেবের পরে স্পষ্ট, দু’টি জলাশয়েই পাখিদের প্রজাতির বৈচিত্র্য এ বছর গতবারের তুলনায় কমেছে। এতে অশনি সঙ্কেত দেখছেন পরিবেশপ্রেমীরা।

ন্যাফ সূত্রের খবর, গত বছরের তুলনায় নারারথলিতে অন্তত দু’শো পরিয়ায়ী কমেছে। গতবছর ওই বিলে ৩১ প্রজাতির ১৩০০ পাখির সন্ধান মিলেছিল। এ বার মিলেছে ২৬ প্রজাতির ১১০০ পাখি। ২০১৭-এর গণনায় রসিকবিলে ৫০ প্রজাতির ৩৩০০ পাখির সন্ধান মিলেছিল। এ বার পাখির সংখ্যা বেড়ে ৩৮০০ হলেও একটি প্রজাতির পাখি আসেনি। ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “বিল সংরক্ষণে আরও যত্ন নেওয়া দরকার। প্রস্তাব দেওয়া হবে।” রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “প্রস্তাব এলে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

রসিকবিলে এ বার ফেরোজিনিয়াস প্রোচার্ড, গাডওয়াল, নর্দান সোভেলার, কমন কুট, কমন টিল , কমন প্রোচার্ড, নর্দান ল্যাপউইং, গ্রে হেডেড ল্যাপউইং , মুরহেন, ওসপ্রে প্রজাতির প্রচুর পাখি দেখা গিয়েছে। নারারথলিতে স্পট বিল ডাক অন্যতম উল্লেখযোগ্য পাখি। এছাড়াও ফেরোজিনিয়াস প্রোচার্ড, গাডওয়াল, কমন টিলের ভাল উপস্থিতি রয়েছে। কিন্তু রসিকবিলে দেখা মেলেনি শিকারি পাখি বলে পরিচিত পালাস ফিস ইগলের। তবে গতবারের মত ভাম্বিনী কাইট প্রজাতির পাখি এ বারেও দেখা গিয়েছে। উত্তরবঙ্গে একমাত্র ওই জলাশয়েই গত দেড় দশকে ওই প্রজাতির পাখির সন্ধান মিলেছে। আবার গার্গেনি বলে পরিচিত একটি প্রজাতির পরিযায়ীদের দেখা কোনও জলাশয়েই এবার মেলেনি। প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) রবিকান্ত সিংহ বলেন, “সরকারিভাবে রিপোর্ট এখনও পাইনি।”

পরিবেশপ্রেমীদের একাংশের অভিযোগ, পিকনিকে মাইকের তাণ্ডব, মাছ ধরার প্রবণতার জন্য পরিযায়ীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। এ বার নারারথলিতে জল আটকে রাখাতেও সমস্যা হয়। তারও প্রভাব পড়েছে। এক-দেড় দশক আগেও রসিকবিলে ৮-৯ হাজার পাখি আসত। প্রজাতির সংখ্যা ছিল অন্তত ৬০টি। তা কমে যাওয়ায় আশঙ্কায় পরিবেশপ্রেমীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Migratory Birds Counting
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE