নদীর চর দখল নিয়ে ফের সরব হলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। বুধবার সকালে মাটিগাড়া ব্লক অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মন্ত্রী। সেখানেই বালাসন নদীর চর দখল নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘‘সমস্ত দফতরকে চিঠি দিয়েছি। কোথাও জমি দখলের অভিযোগ উঠলেই যেন এফআইআর করা হয়। একইসঙ্গে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারকে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’
সরকারি সূত্রের খবর, পুলিশ-প্রশাসনের একাংশ বালাসনের চর দখল নিয়ে ঢিমেতালে পদক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ। শেষ দু’বছরে মাত্র দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের দাবি, নিয়মিতভাবেই দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। আদালতে বেশ কিছু মামলাও রয়েছে। গত বছরে শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ-প্রশাসনকে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে তারা।
মাটিগাড়ার বালাসন সেতুর কাছে বালাসন কলোনি এবং পালপাড়া কলোনির বেশ কিছু অংশে শতাধিক দখলদার রয়েছে বলে অভিযোগ। নদী পেরিয়ে রানানগর এবং লেনিন কলোনিতেও প্রচুর জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের দাবি, এলাকায় নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। কিছুদিন আগেই নদীর চরে গজিয়ে ওঠা কিছু অস্থায়ী নির্মাণ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের তা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ।
নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার জন্য গত সপ্তাহে দুটি মেশিন আটক করেছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। অভিযুক্ত মালিকের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক সিরাজ দানেশ্বর বলেন, ‘‘গত সপ্তাহেই দখলে অভিযুক্তদের নথিপত্র নিয়ে ডাকা হয়েছে।’’ মাটিগাড়ার বিএলআরও দুর্জয় রায় বলেন, ‘‘নদীর চর থেকে জমি দখলের বিরুদ্ধে আমরা পরপর ব্যবস্থা নেওয়া চলছে। নথিপত্র পরীক্ষার পরে অভিযোগও দায়ের করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy