আসন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর বাস পরিষেবা নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রত্যন্ত এলাকাতেও পরীক্ষার্থীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পরিবহণ আধিকারিক, প্রশাসন ও পরিবহণ বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেছেন মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন সচিবেরাও। সেখানে পরীক্ষার জন্য প্রতিবারের মত বাসের ব্যবস্থা করা ছাড়াও তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে মন্ত্রী অফিসারদের ওই গ্রুপ খোলার নির্দেশ দেন। আগামী ১২ মার্চ থেকে মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে। এর পরেই শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক।
সরকারি সূত্রের খবর, তাঁর নিজের দফতরের অফিসারেরা ছাড়াও পুলিশ, প্রশাসন, শিক্ষা দফতর, পরিবহণ বোর্ডের সদস্যদের গ্রুপে রাখার কথা বলেছেন। কেউ কোথাও কোনও সমস্যা, খবর পাওয়া মাত্রই ওই গ্রুপে দেবেন। তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাস দেরিতে পৌঁছান, কোথাও রাস্তায় পরীক্ষার্থীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখলে জানানোর কথা বলা হয়েছে। পরিবহণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন সমস্ত এলাকায় বাস পরিষেবা থাকবে। যে সমস্ত গ্রামীণ বা প্রত্যন্ত এলাকায় বাস, গাড়ি নেই বললেই চলে, সেখানেও বাসের রুট রাখতে হবে। সমস্ত তথ্য ওই গ্রুপে শেয়ার করতে হবে। মহকুমা এবং জেলাস্তরের সকলে মিলে তাতে নজর রেখে কাজ করতে হবে।
শিলিগুড়িতে মহকুমা শাসকের বাংলোতে ভিডিও কনফারেন্সটি হয়েছে। অফিসারেরা ছাড়াও জেলা পরিবহণ বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ পাল উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি জেলাকে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে জোর দিতে বলা হয়েছে। তেমনিই, পাহাড়ের পরিস্থিতির জেরে রাজস্ব আয় দার্জিলিং ও কালিম্পঙে কম হওয়ায় আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় টোটো’র টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর সংক্রান্ত কাজ কতদূর এগিয়েছে তার রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। গতিধারা ও সারথী প্রকল্পের আবেদনকারীদের নথি দ্রুত কলকাতার জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
কৃষ্ণবাবু বৈঠকে পুলকার এবং স্কুল বাসের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পুলকার চলছে। স্কুলবাসগুলিও অনেক সময় নিয়ম ভাঙছে। আবার ওভারলোডিং গাড়ি সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে দুর্ঘটনাও বাড়ছে। তা শুনে মন্ত্রী পরিবহণ আধিকারিকদের পুলিশকে নিয়ে অভিযান শুরুর কথা বলেছেন। এ ছাড়াও শিলিগুড়ির কাছারি রোডে পরিবহণ দফতরের অফিসটি সরানোর প্রস্তাব দিয়েছি। মন্ত্রী প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে বলেছেন।
অফিসারেরা জানান, শিলিগুড়ির অফিসে ড্রাইভিং টেস্ট ও ফিটনেস পরীক্ষার জন্য জায়গা নেই। মাটিগাড়ায় পরিবহণ নগরীতে তা হয়। আধুনিক পরিবহণ ভবনের কথা উঠেছে। কাওয়াখালির দিকে নতুন অফিসের প্রস্তাব পাঠানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy