ফেসবুকের সৌজন্যে নিঁখোজ প্রৌঢ়কে খুঁজে পেলেন পরিজনেরা। বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহার শহরের ঘটনা।
রাতেই পুলিশের সহযোগিতায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে কোচবিহার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সোস্যাল মিডিয়ায় ‘লাইভ’ হয় ওই ঘটনা। সেই সূত্রেই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলে রাতেই কোচবিহারে পৌঁছন তাঁর পরিজনেরা। নিঁখোজ প্রিয়জনকে ফিরে পেয়ে আনন্দের কেঁদে ফেলেছেন তাঁরা।
ওই প্রৌঢ়ের নাম বসন্ত বণিক। দিনহাটা শহরের রংপুর রোড এলাকায় বাড়ি। শহরের একটি সিনেমা হলের সামনে বাদাম বিক্রি করেন তিনি। হতদরিদ্র পরিবারের ওই ব্যক্তি গত ৬ মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। শুরু হয় খোঁজ। আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতেও ফোন করা হয়। তাতেও কিছু লাভ হয়নি। উদ্বিগ্ন বাড়ির লোকেরা দিনহাটা থানায় মিসিং ডায়েরিও করেন। খোঁজখবর শুরু করে পুলিশও। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহার শহরে উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের সামনে নর্দমায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যাক্তি পড়ে রয়েছেন বলে খবর চাউর হয়। ওই স্বেছাসেবী সংস্থার সভাপতি নবেন্দু ভদ্র বলেন, “রাত প্রায় ১০টা নাগাদ আমরা যাই। সে সময় পুলিশও সেখানে পৌঁছয়। পুলিশের গাড়িতে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা হয়। ফেসবুকে সেই ভর্তির পুরো ঘটনাই লাইভ করা হয়। সেটা দেখে ওই ব্যাক্তির পরিচিত যোগাযোগ করেন।”
বসন্তবাবুর আত্মীয় বিপুল মোদক বলেন, “আমিই প্রথম পোস্টে মামাকে দেখে যোগাযোগ করেছি। বাড়ির সবাইকে খবর দিই। সে মুহূর্তে আনন্দে চোখের জল চলে এসেছিল।”
পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বসন্তবাবু বেশ কিছু দিন থেকেই অন্যমনস্ক থাকতেন। খানিকটা অবসাদগ্রস্থ অবস্থার জন্য কাজেও মাঝেমধ্যে যেতেন না। কিন্তু তাই বলে একেবারে উধাও হয়ে যাবেন, তা কেউ ভাবেননি। শুক্রবার কোচবিহার জেলা হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে বসন্তবাবু শুধু বলেন, “ট্রেনে চেপে কোচবিহারে এসেছি।” স্ত্রী লক্ষ্মীদেবী বলেন, “খুব চিন্তায় পড়েছিলাম। ফিরে পেয়ে স্বস্তি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy