প্রতিবাদ: ছাত্র ধমর্ঘটকে কেন্দ্র করে দিনহাটায় এসএফআইয়ের জমায়েত। ছবি: সুমন মণ্ডল
সংস্কৃত ও ঊর্দু শিক্ষকের নিয়োগকে কেন্দ্র করে দাড়িভিট স্কুলে দুই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার স্কুল ধর্মঘটের ডাক দেয় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। তাতে মিশ্র সাড়া লক্ষ্য করা গেল কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে।
দিনহাটায় বিভিন্ন স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই। দিনহাটা থানার ঠিক উল্টোদিকেই দিনহাটা হাইস্কুলের সামনে ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের উপস্থিতিতেই পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান ওঠে। এসএফআইয়ের কোচবিহার জেলা সম্পাদক শুভ্রলোক দাস বলেন, তাঁদের আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীরা এ দিন পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এ দিনের ছাত্র ধর্মঘট স্বতঃস্ফূর্ত হয়েছে বলে এসএফআই দাবি করে।
মেখলিগঞ্জে ছাত্র ধর্মঘট সফল করার রাশ ধরে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। সংগঠনের সদস্যরা এ দিন সকাল থেকেই মেখলিগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেটে পতাকা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান। মেখলিগঞ্জ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, মেখলিগঞ্জ কলেজ সর্বত্রই এই ছবি দেখা যায়। সংগঠনের তরফে মেখলিগঞ্জ কলেজের বাইরে ২০ মিনিট পথ অবরোধ করা হয়। এবিভিপি-র তরফে ইরফান প্রামাণিক জানান, ধর্মঘট মেখলিগঞ্জে সর্বাত্মক।
ধূপগুড়িতে স্কুল ধর্মঘটের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। সকালে এবিভিপি-র সদস্যরা পতাকা হাতে স্কুল বন্ধ করতে গেলেও তাতে সাড়া পড়েনি। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এলাকায় সব স্কুলেই পঠনপাঠন অন্য দিনের মতো হয়েছে। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও বাকি দিনগুলোর মতো স্বাভাবিক ছিল।
অন্যদিকে ছাত্র ধর্মঘটের তেমন কোন প্রভাবই পড়ল না আলিপুরদুয়ারে৷ জেলার প্রায় সব স্কুল-কলেজই এ দিন খোলা ছিল৷ পঠন-পাঠনও হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই৷ ধর্মঘটের সমর্থনে সেভাবে জেলার কোথাও পিকেটিং-ও দেখা যায়নি৷ শনিবার জেলার স্কুল-কলেজগুলিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতি যেমন থাকে এ দিনও তেমনটাই ছিল৷
কোচবিহার শহরেও বেশ কিছু স্কুলের সামনে পিকেটিং হয়। রাস্তা অবরোধ করেন এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই সমর্থকরা। মেখলিগঞ্জে পথ অবরোধ করে এবিভিপি। মালবাজারে ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই পড়েনি। শনিবার সন্ধ্যায় শহরের সুভাষ মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ এর ডাক দিয়ে সিপিএম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy