প্রস্তুত: শীতলপাটির ব্যাগ নিয়ে এক সদস্যা। নিজস্ব চিত্র
থরে থরে সাজানো থাকবে চিঁড়ে, মুড়ির মোয়া। নারকেল, তিলের নাড়ু, পায়েস তৈরির চসি, আচার ছোটবড় নানা আকারের শীতলপাটির ব্যাগ। এটা জেলার কোনও মেলার ছবি নয়। সুদূর গোয়ায় আয়োজিত সরস মেলার স্টলেও মিলবে কোচবিহারের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের তৈরি এই সব সামগ্রী। কোচবিহারের দু’টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে জাতীয় স্তরে বিপণনের জন্য সে সব তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে প্রায় এক লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে মারগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন দু’টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নেত্রী কৃষ্ণা মণ্ডল, রীণা দে। কাল, শুক্রবার থেকে দক্ষিণ গোয়ার ওই শহরে এসজিপিডিজি ময়দানে এ বারের সরস মেলা শুরু হবে।
প্রশাসন সূত্রের দাবি, রাজ্যের দু’টি জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সামগ্রী ওই মেলায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। কোচবিহারের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সুযোগ পেয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, পারফর্ম্যান্স দেখেই তালিকা হয়।
গোয়া সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত ওই মেলায় এমন সুযোগ পেয়ে স্বভাবতই খুশি কোচবিহারের প্রশাসনিক কর্তারাও। কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “সত্যিই বড় প্রাপ্তি। উৎসবে যোগ দিতে ইতিমধ্যে গোয়ার উদ্দেশে জেলার দুই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা রওনাও হয়েছেন।” গ্রামোন্নয়ন শাখার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত উৎসব চলবে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি আকর্ষক হস্তশিল্প থেকে রকমারি খাবারের সম্ভার মেলার মূল আকর্ষণ।
ওই উৎসবে যোগ দিতে পেরে খুশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাও। কোচবিহার ১ ব্লকের ঘুঘুমারির বাসিন্দা কৃষ্ণা বলেন, “শীতলপাটির রকমারি ব্যাগ গোয়ায় দারুণ বিক্রি হয়। ব্যাপক চাহিদা। এ সব হস্তশিল্পই কোচবিহারের আলাদা পরিচিতি দেবে বলে আমাদের আশা।” তিনি জানান, আগে গোয়ায় গিয়েছিলেন। অভিজ্ঞতার থাকায় এ বার আশাও বেড়েছে। দিনহাটার ভেটাগুড়ির ‘নিবেদিতা’ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রীণা বলেন, “আমার এ বারই প্রথম গোয়ায় এমন মেলায় যাওয়ার সু্যোগ হচ্ছে। ভাল লাগছে। বাজিমাত করতে আমরা কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী খাবারের সামগ্রীতে জোর দিচ্ছি। রকমারি নাড়ু, মোয়া, পায়েসের জন্য চসি, আম, চালতার আচার সব স্টলে থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy