প্রধান শিক্ষকদের পাশাপাশি দায়িত্বে ছিলেন সরকারি আধিকারিকেরা। তার পরেও পরীক্ষা শুরুর মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে হোয়াট্সঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্ন ফাঁস-কাণ্ডে মালদহের তিন জন ইতিমধ্যে ধরাও পড়েছে সিআইডির জালে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে জেলায় তাই সতর্ক উচ্চমাধ্যমিক কাউন্সিল এবং প্রশাসন। হোয়াট্সঅ্যাপে প্রশ্নফাঁস রুখতে মালদহ জেলা জুড়ে ৫০টিরও বেশি পরীক্ষাকেন্দ্রে বসানো হচ্ছে স্ক্যানার। মোবাইল নিয়ে প্রবেশ রুখতে এমনই নজিরবিহীন পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে দাবি কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের।
গত বছর মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র ফাঁসে নাম জড়িয়েছিল ময়নাগুড়ির এক স্কুলের। তাই এ বার প্রশ্নপত্র খোলার সময় প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রেই মোতায়েন করা হয়েছিল প্রশাসনিক আধিকারিকদের। পরীক্ষার্থীদের সামনে খোলার বিধি চালু হয়। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু উচ্চমাধ্যমিক শুরু। চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত।
মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তাপসকুমার বিশ্বাস বলেন, “বেশ কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে স্ক্যানার বসানো হচ্ছে। থাকছে সিসিটিভিও।” সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ, প্রশাসন-সহ শিক্ষা দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে চিহ্নিত হয়েছে জেলার স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির তালিকা। শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৪০ হাজার ১৯৪ জন। মাধ্যমিকের মতো এ বার উচ্চমাধ্যমিকেও ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। পরীক্ষা পরিচালনা কেন্দ্র ১৬টি। পরীক্ষাকেন্দ্র ১০৫টি। ৫২টি কেন্দ্রই স্পর্শকাতর। কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগর, মোথাবাড়ি, রতুয়া এবং ইংরেজবাজারের কিছু পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। আর প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রেই বসানো হচ্ছে স্ক্যানার। ফলে পরীক্ষার্থীরা গোপনে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকলেই ধরা পড়ে যাবে। একই সঙ্গে ওই কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা দফতরের কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy