Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

অ্যাকাউন্ট খুললেই নাকি ঢুকবে টাকা, গুজবে ভিড়

সত্যিই কি জ়িরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট খুললে গ্রাহকের নামে মোটা টাকা জমার কোনও নির্দেশ রয়েছে? ডাক বিভাগ সূত্রের অবশ্য দাবি, এ রকম কোনও নির্দেশ তাদের কাছে আসেনি।

অপেক্ষা: অ্যাকাউন্ট খোলার লাইনে। নিজস্ব চিত্র

অপেক্ষা: অ্যাকাউন্ট খোলার লাইনে। নিজস্ব চিত্র

অরিন্দম সাহা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:০৭
Share: Save:

ডাকঘরে জ়িরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট খুললেই নাকি ঢুকবে টাকা! এমন গুজবই ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ। তার জেরেই ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতে ভিড় হচ্ছে কোচবিহারের মুখ্য ডাকঘরের সামনে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার নানা গ্রাম থেকে কোচবিহারে আসছেন বহু মানুষ। টাকা মেলার গুজবের আঁচ মিলছে অপেক্ষমানদের আলোচনাতেও। লাইনে দাঁড়িয়ে দু’একজন নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিলেন, অ্যাকাউন্টে টাকাটা যে কবে ঢুকবে! তাঁদেরই একজন, অ্যাকাউন্ট খুলতে আসা দিনহাটার আবুতারার যোগমায়া বর্মণ বলেন, “জ়িরো বই করতে এসেছি। শুনেছি মোদী সরকার টাকা দেবে। কত দেবে তা অবশ্য জানি না।” বামনহাটের পার্বতী বিশ্বাস বলেন, “লোকমুখে শুনতে পারলাম মোদীজি নাকি বলেছেন এই ডাকঘরে জ়িরো ব্যালান্সে বই করতে বলেছেন। অনেক সুযোগ সুবিধে পাওয়া যাবে।”

সত্যিই কি জ়িরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট খুললে গ্রাহকের নামে মোটা টাকা জমার কোনও নির্দেশ রয়েছে? ডাক বিভাগ সূত্রের অবশ্য দাবি, এ রকম কোনও নির্দেশ তাদের কাছে আসেনি। ডাক বিভাগের কোচবিহারের এক আধিকারিক রূপক সিংহ বলেন, “এ রকম কিছু জানা নেই।” তাবে তাতে অ্যাকাউন্ট খোলার হিড়িক কমছে না। ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিনে কোচবিহারের মুখ্য ডাকঘরে দেড় শতাধিক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। তাদের মধ্যে অনেকেই দিনহাটা মহকুমার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ‘লিঙ্ক ফেল’ না হলে নতুন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা একদিনেই সেঞ্চুরি ছাড়াত। ডাকঘরের এক আধিকারিক আবার দাবি, প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন সরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুললে খুব কম টাকা রাখা যায় না। তাই এই ভিড়।

আরও পড়ুন: ‘বোমা তৈরি তো দেখছি কুটিরশিল্প’, ক্ষুব্ধ মমতা

এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছে শাসক তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রে ক্ষমতার আসার পর থেকে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে ভাঁওতা দিচ্ছে মোদী সরকার। বিজেপি ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও প্রচার করেছিল বলে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “মোদী সরকার কাউকে এক টাকাও দেয়নি। ওরা ভাঁওতা দিয়ে মানুষকে বোকা বানাতে চাইছে।” বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে অপপ্রচার করছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিচ্ছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা বলেন, “আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে অনেকে স্বাস্থ্যবিমার কার্ড পেয়েছেন। চিকিৎসার ওই প্রকল্পে অ্যাকাউন্ট নম্বর লাগে। তাই ভিড় হতে পারে। ওতে টাকা জমার ব্যাপার নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rumor Cooch Behar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE