প্রতীকী ছবি।
ভোটের প্রচারে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বাস্তবে যা হচ্ছে না বলেই মনে করছেন নির্বাচনী আধিকারিকদের অনেকে। সেই দিকে তাকিয়ে আরও একটি নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। ভোটের সময় ব্যবহার করা
প্লাস্টিকের ফ্লেক্স, ব্যানার যাতে পরিবেশের ক্ষতি করতে না পারে তার দায়িত্ব নিতে হবে স্থানীয় পুরসভাগুলোকে। প্রার্থী বা দলের কাছে টাকা নিয়ে সমস্ত পোস্টার, ভিনাইল, কাট আউট সরিয়ে ফেলতে হবে পুরসভাকেই।
জেলা নির্বাচন আধিকারিক জয়সী দাসগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা পুরসভাগুলিকে শীঘ্রই কমিশনের নির্দেশ পাঠাব।’’ কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের প্রচারে প্লাস্টিকের ফ্লেক্স ছাড়াও পিভিসির মতো সামগ্রীও ব্যবহার করা হচ্ছে। সেগুলো পরে বর্জ্যে পরিণত হয়। তাই স্থানীয় পুরসভাগুলো এসব সরিয়ে ফেলার দায়িত্ব নেবে। কিছুদিন আগে ওই নির্দেশ জারি হলেও এখনও দার্জিলিং কেন্দ্রের চারটি পুরসভা এবং শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকায় নির্বাচন দফতর থেকে চিঠি আসেনি বলে পুর কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুরসভার একটি অংশ জানাচ্ছে, চিঠি এলে সেই কাজের প্রস্তুতিতে অনেকটাই সময় যাবে। কারণ কোথায় কোন দলের পোস্টার রয়েছে, সেগুলোর হিসেব করে তবে দল বা প্রার্থীর কাছে সেসব সরানোর টাকা চাইতে হবে। প্রার্থী বা দলগুলোকেও এ ব্যাপারে এখনও কিছুই জানাতে পারেনি পুর কর্তৃপক্ষ।
শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এখনও নির্দেশ আসেনি। এলে আমরা সেই মতো ব্যবস্থা নেব।’’ দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মিরিক, কালিম্পং পুরসভাতেও এখনও কোনও নির্দেশ যায়নি বলেই জেলার নির্বাচন আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুলস এবং প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুলস অনুসারেই পুরসভাগুলোকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শিলিগুড়ি পুরসভায় এমনিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা জোরদার নয় বলে অভিযোগ। তাছাড়া নির্দেশে কেবলমাত্র বলা হয়েছে, প্রার্থীদের থেকে পোস্টার ব্যানার সরানোর জন্য যে খরচ হবে, তা নিতে। কিন্তু সেই খরচ কী হারে ঠিক করা হবে, এই ব্যাপারে এখনও কোনও স্পষ্ট হিসেব পুরসভার কাছে নেই।
এই বিষয়ে শিলিগুড়ি পুরসভা সূত্রে দাবি, যেহেতু প্রথমবার এই কাজ হবে, তার জন্য প্রস্তুতি আগে থেকে শুরু করা দরকার। পুর কর্তৃপক্ষদের শীঘ্রই এই নির্দেশ পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে নির্বাচন আধিকারিকের দফতর সূত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy