Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

অভিযানেও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল পুরসভা

প্লাস্টিক অভিযানে বেরিয়ে এ বারে বিতর্কে জড়াল পুরসভা। বুধবার চম্পাসারি বাজারে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিলেন পুরকর্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৬ ০২:৩৬
Share: Save:

প্লাস্টিক অভিযানে বেরিয়ে এ বারে বিতর্কে জড়াল পুরসভা।

বুধবার চম্পাসারি বাজারে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিলেন পুরকর্তারা। ছিলেন পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত, পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ মুন্সি নুরুল ইসলাম, বরো চেয়ারম্যান স্নিগ্ধা হাজরাও। যে সব দোকানি প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ দিচ্ছিলেন তাঁদের জরিমানা ৫০০ টাকা। আর যাঁরা কিনছিলেন, তাঁদের জন্য ৫০ টাকা। হঠাৎই অভিযোগ ওঠে, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দু’রকম জরিমানা নিচ্ছেন পুরসভার অভিযানকারীরা। কয়েক জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তাঁরা ৫০০-এর বদলে ৫০ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।

মুকুল, স্নিগ্ধা বা নুরুলরা বোঝানোর চেষ্টা করলেও কাজ হয়নি। শেষে দেখা যায়, সত্যিই কয়েক জন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কম টাকা নেওয়া হয়েছে। তখন ফের তাঁদের কাছ থেকে বাড়তি জরিমানা চান অভিযানকারীরা। তাতে আবার অন্য গোলমাল শুরু হয়। নতুন করে বচসা বেঁধে যায়।

প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই জেরবার পুরসভা। এমনকী, বাম পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের কিছু সিদ্ধান্তে পরোক্ষে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বাজারে ফিরে আসছে। বিষয়টি নিয়ে পথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের জোট সঙ্গী এবং প্লাস্টিক বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ্য চরিত্র কংগ্রেস কাউন্সিলর সুজয় ঘটকও জানান, প্রয়োজনে তিনিও আন্দোলনে নামবেন। এর পরেই নড়েচড়ে বসে পুরসভা। বাজারে প্লাস্টিক বিরোধী অভিযানের পাশাপাশি গত শনিবার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি গুদামে হানা দিয়ে ১৫ টন প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এখন পুর কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই তাদের ব্যবসা চলে। তার পরেও কেন ওই সংস্থার মালিকের নামে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি, তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অশোকবাবু বলেন, ‘‘দ্রুত এর বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।’’

অনেকে সন্দেহ করছেন, এর পিছনে প্লাস্টিক লবির ভূমিকা থাকা অস্বাভাবিক নয়। শহরের প্লাস্টিক সংস্থাগুলির সংগঠনের কর্ণধার রতন বিহানী বর্তমানে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের উত্তরবঙ্গ আঞ্চলিক শাখার চেয়ারম্যানও। সিআইআই সূত্রে জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান দেশের বাইরে কাজে রয়েছেন। এই শাখার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রমোদকুমার শাহ বলেন, ‘‘প্লাস্টিকের সামগ্রী তৈরির ইউনিটগুলির সঙ্গে পরিবেশ রক্ষা সংক্রান্ত কিছু সমস্যা জড়িয়ে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Municipality plastic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE