প্রতীকী চিত্র
গুলিবিদ্ধ এক চা শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হল বাগানে। শনিবার রাতে শিলিগুড়ি মহকুমার চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোহরগাঁও চা বাগান এলাকার ঘটনা। বাগানটি জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই প্রধাননগর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতের নাম অজিৎ শহরিয়া (২৮)। তাঁর বাড়িতে পাঁচ বছরের একটি ছেলে, স্ত্রী, বৃদ্ধ মা, বাবা রয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বন দফতরের সুকনা রেঞ্জ অফিসে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
মৃতের বাবা কেতয়া শহরিয়া বলেন, ‘‘বাগান এলাকায় ঢুকে বনরক্ষীরাই ছেলেকে গুলি করেছে। এ ভাবে যেন আর কোনও চা বাগান শ্রমিকের মৃত্যু না হয় তার ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ স্থানীয়দের দাবি, কাঠচোর ভেবে বনকর্মীরা ওই ব্যক্তিকে গুলি করেছে। তাঁদের দাবি, ওই চা শ্রমিক কাঠচোর নন, গবাদি পশু ঘরে না ফেরায় খুঁজতে বেরিয়েছিলেন তিনি।
যদিও মহানন্দা বন্যপ্রাণ বিভাগের বন আধিকারিক জিজু জেসপার জে বলেন, ‘‘শনিবার রাতে বনকর্মীরা টহলদারি চালাচ্ছিল। ওই এলাকায় একদল লোক বনের গাছ কাঠছিল। বাধা দিতে গেলে তাঁরা আক্রমণ করে। বনকর্মীরাও গুলি চালায়।’’ বন কর্তারা জানান, আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর তথ্য পুলিশকেও জানান হবে। যদিও বনকর্মীর গুলিতেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে বন দফতর আলাদা তদন্ত শুরু করেছে।
পরিবারের দাবি, গত শনিবার সন্ধ্যায় পোষা গরু ঘরে না আসায় অজিৎ খুঁজতে বের হন তিনি। রাত অবধি বাড়ি না ফেরায় এলাকাবাসী খোঁজ শুরু করেন। কেলাবাড়ি সেকশন এলাকায় তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। অজিতের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্নছিল বলে স্থানীয়ের দাবি। তাঁরা অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।
শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি (পশ্চিম) কুঁয়র ভূষণ সিংহ বলেন, ‘‘পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলেই একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হবে। দেহের ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্যও অপেক্ষা করছি।’’
সুকনা রেঞ্জ অফিসে গিয়েছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার। মৃতের পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। বিষয়টি বনমন্ত্রীকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
বাগান কর্তৃপক্ষও ওই পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy