ক্ষোভ: অবস্থানে সুমির পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র
এক ব্যবসায়ীর বাড়ির পরিচারিকা সুমিত্রা বর্মন (২০) ওরফে সুমির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জের দেবীনগরে। এই মৃত্যুর ওই ব্যবসায়ীর পরিবারই দায়ী বলে অভিযোগ মৃতার পরিবারের। সোমবার রাতে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃতার পরিবারের লোকজন এবং বাসিন্দাদের একাংশ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএসপি, রায়গঞ্জ থানার আইসির নেতৃত্বে বিরাট পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
মৃতের দাদা পেশায় ভ্যানচালক সঞ্জয় বর্মন এলাকার আসবাব ব্যবসায়ী সন্তোষকুমার সাহা এবং তাঁর ছেলে জগৎ সাহার পরিবারে ন’বছরেরও বেশি রয়েছেন তাঁর বোন সুমি। সুমির বিয়ের ঠিক করা হয়েছে জানিয়ে তাঁর মা-কে ভগবানপুর থেকে ডেকে আনে ওই পরিবার। রবিবার ব্যবসায়ীর বাড়ি গিয়ে তাঁর মা মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি বলেন, ‘‘বোনের মারা যাওয়ার খবর আমিও পাইনি। রাতে জেনে এসেছি। কিন্তু ততক্ষণে বোনের শেষকৃত্য হয়ে গিয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়।’’ সঞ্জয় তাঁর মামাকে জানান। চাঁচলের বাড়ি থেকে মামা ভবেশ বর্মন, মামি উর্মিলা বর্মন এবং পড়শিরা এসে ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে অবস্থান করেন। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, ‘‘মৃতার পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই ওই তরুণীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হবে।’’
পুলিশ জানায়, গত রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ বিষক্রিয়ার ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুমি। রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুর দেড়টা নাগাদ মারা যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy