তদন্ত: জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
স্কুটি করে আদালতে যাওয়ার সময় ভর দুপুরে অজস্র মানুষের চোখের সামনে এক তরুণীকে লক্ষ করে গুলি চালানো হল ইসলামপুরে। বুধবার দুপুরে ইসলামপুর থানার হাসপাতাল পাড়ায় এই ঘটনার পরে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, ‘‘হঠাৎ মনে হয়েছিল, বুঝি সিনেমার শুটিং চলছে।’’
কিন্তু সিনেমা নয়। দুপুর দেড়টা নাগাদ সত্যি সত্যি গুলির শব্দেই চমকে উঠেছে ইসলামপুর। তখন একটি স্কুটিতে চেপে ভাইয়ের সঙ্গে আদালতে যাচ্ছিলেন লিপি দাস নামে এক তরুণী। চালাচ্ছিলেন লিপির ভাই। একটি মোটরবাইকে করে তাঁদের তাড়া করে দুই দুষ্কৃতী। মোটরবাইকটি দেখতে পেয়ে লিপিরাও দ্রুত চলতে শুরু করেন। ধাওয়া করে দুষ্কৃতীরা। একটি বেসরকারি স্কুলের সামনে পৌঁছলে বাইকের পিছনে বসে থাকা এক দুষ্কৃতী লিপি ও তাঁর ভাইকে লক্ষ করে গুলি চালাতে শুরু করে। সেখানে তিন রাউন্ড গুলি করে। একটিও অবশ্য লিপিদের গায়ে লাগেনি। সামান্যর জন্য দু’জনেই বেঁচে যান। প্রত্যক্ষদর্শী বুলবুল দে-র কথায়, ‘‘দুষ্কৃতীরা দু’জনেই হেলমেট পরে ছিল। তাই তাদের দেখতে পাইনি। তারা মোটরবাইকটি চালাচ্ছিলও খুব জোরে।’’
লিপি যাচ্ছিলেন আদালতে একটি মামলায় সাক্ষী দিতে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, স্থানীয় এক ব্যবসায়ী কুশল দাসের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী মামলা করেছেন। সেই মামলাতেই সাক্ষী দিতে যাচ্ছিলেন লিপি। ওই ব্যবসায়ীর একটি প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবোরেটরি রয়েছে।
সেখানেই কাজ করতেন লিপি। কুশলবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমার বিরুদ্ধে আমার স্ত্রী মামলা করেছেন। সেই মামলারই সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ শুনলাম, রাস্তায় গুলি চলেছে। পুলিশ আমাকে আটক করেছে। কিন্তু আমার দোষ কী জানি না। তবে লিপিকে আমি চিনি। আমার কাছে কাজ করতেন।’’
লিপিকে কারা কেন গুলি করতে চেয়েছিল, তা নিয়ে অবশ্য পুলিশ মুখ খুলতে চায়নি। লিপি বলেন, ‘‘এ দিন আদালতে যাচ্ছিলাম মামলার সাক্ষ্য ছিল বলে। তখন আমার উপরে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি।’’ দুষ্কৃতীরা স্থানীয় না অন্য রাজ্য থেকে এসেছিল, তা-ও এখনও জানা যায়নি।
দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের সিসিটিভি ফুটেজও দেখছে পুলিশ। পুলিশ সুপার সচিন মক্কার বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তদন্ত শেষ করে বিষয়টি বলা সম্ভব হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy