Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বেতন হল না এনবিএসটিসি বাসকর্মীদের

এ দিন কর্তৃপক্ষের তরফে স্থায়ী কর্মীদের ৬ হাজার টাকা করে অগ্রিম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অস্থায়ী কর্মীদের বোনাস হিসাবে ১৪০০ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সৌমিত্র কুণ্ডু
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৩৭
Share: Save:

সরকারি নির্দেশিকা আসতে দেরি হয়েছে। পুজোর মাসের পাঁচ দিন গড়িয়ে গেলেও তাই বেতন মেলেনি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার কর্মী-আধিকারিকদের। তবে শুক্রবার দুপুরের পরে সরকারি নির্দেশিকা অর্থাৎ ‘জিও’ এসে পৌঁছেছে। তবে ওই নির্দেশিকা ট্রেজারিতে পাঠিয়ে বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা এ দিন আর করা সম্ভব হয়নি। আগামিকাল শনিবার, পরদিন রবিবার। সোমবারও মহালয়ার ছুটি। ট্রেজারি বন্ধ থাকবে। তাই জিও এসে পৌঁছলেও মঙ্গলবারের আগে তাঁদের বেতন মিলছে না বলেই কর্মী-আধিকারিকদের ধারণা।

এই পরিস্থিতিতে এ দিন কর্তৃপক্ষের তরফে স্থায়ী কর্মীদের ৬ হাজার টাকা করে অগ্রিম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অস্থায়ী কর্মীদের বোনাস হিসাবে ১৪০০ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এনবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা আসতে কখনও একটু দেরি হয়। তবে দ্রুত সকলেই বেতন পাবেন।’’ এনবিএসটিসি-র চারটি ডিভিশন রয়েছে। কোচবিহার, শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ এবং বহরমপুর। সব মিলিয়ে কাজ করেন ১৩৭৮ জন স্থায়ী কর্মী-আধিকারিক। ওয়ার্কম্যান থেকে হেল্পার, কন্ডাক্টর, চালক, আপার ডিভিশন এবং সলোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক, আধিকারিকরা। তা ছাড়া চালক এবং কন্ডাক্টর পদে অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন ২ হাজার ২১৬ জন। সকলেই বেতন কবে পাবেন সেই দিকে তাকিয়ে।

এনবিএসটিসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবল রায় জানান, কর্মীদের বেতনের অংশে সরকার ভর্তুকি দেয় ৭৫ শতাংশ অর্থ। বাকিটা সংস্থার তরফে দেওয়া হয়। পুজোর মাসের কথা ভেবে এ দিন সংস্থার অংশ থেকে অগ্রিম হিসাবে স্থায়ী কর্মীদের টাকা দেওয়া হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী সংগঠনগুলো। রায়গঞ্জ ডিভিশনের আইএনটিইউসি পরিচালিত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম কর্মচারী সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রণব বসাক বলেন, ‘‘পরিবহণমন্ত্রী ১ তারিখ কর্মীদের বেতনের আশ্বাস দিচ্ছেন। অথচ পুজোর মাসেই বেতন নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। পরিবারের লোকদের নিয়ে কেনাকাটা করবেন বলে অনেকেই মুখিয়ে রয়েছেন।’’ সিটুর রায়গঞ্জ শাখার নেতারাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, পুজোর মুখে অনেকেই কেনাকেটা করার জন্য অপেক্ষা করেন। অনেকে ঋণও মেটান। অনেকের ব্যাঙ্কের ঋণের ক্ষেত্রে মাসের গোড়ার দিকেই কিস্তির টাকা শোধ করার দিন থাকে। তা পেরিয়ে গেলে জরিমানা দিতে হয়। তাই এমন অবস্থা বাঞ্ছনীয় নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NBSTC Employee Salary
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE