এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়েছে। এখনও কোচবিহারের তিন মহকুমার হাইস্কুল শিক্ষকদের একাংশ মার্চ মাসের বেতনও পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে সরব হয়েছে বাম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ।
সংগঠনের অভিযোগ, এপ্রিলের শুরুতেই জেলার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও মাথাভাঙা, মেখলিগঞ্জ, দিনহাটা মহকুমার হাইস্কুল শিক্ষকদের বেশিরভাগের বেতন হয়নি। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন অন্তত দু’হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা।
এবিটিএ’র কোচবিহার জেলা সম্পাদক সুজিত দাস বলেন, “সব শিক্ষকদের একসঙ্গে বেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়।’’ আর্থিক বছরের প্রথম মাসে অনেকসময় এমন সমস্যা হয় বলে জানান তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন, ‘‘তবুও এটা কাঙ্খিত নয়। দ্রুত সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতন পেয়ে যাবেন।” শনিবারের মধ্যে বেতন মেলার আশ্বাস দিয়েছেন কোচবিহারের ডিআই (সেকেন্ডারি) বালিকা গোলেও।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে চারশোরও বেশি হাইস্কুল রয়েছে। প্রতি মাসে সেখানকার শিক্ষকদের বেতন দিতে প্রায় ২৬ কোটির টাকার দরকার হয়। রাজ্য সরকার ওই বরাদ্দের অনুমোদন পাঠানোর পর তা ট্রেজারিতে পাঠানো হয়। ট্রেজারি থেকে শিক্ষকদের আক্যাউন্টে বেতন যায়। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন আর্থিক বছরে বরাদ্দই এসেছে ৪ এপ্রিল। ফলে পুরো প্রক্রিয়া কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে।
মাথাভাঙার খেতি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, “শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ব্যাঙ্কের কোনও এসএমএস পাইনি।” তুফানগঞ্জের কয়েকজন স্কুল শিক্ষক অবশ্য জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে তাঁরা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে বেতন ঢুকেছে বলে এসএমএস পান। এর মধ্যেই নগদের অভাবে শিক্ষকদের পুরো বেতন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে নাটাবাড়ি এলাকার একটি ব্যাঙ্কের শাখার বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy