Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করে নতুন দিশায় রূপান্তরকামীরা

ঘুঘুমারিতে একটি অফিস তৈরি করেছেন তাঁরা। গোষ্ঠী গড়ার মূলে রয়েছেন সুমি দাস নিজে। দীর্ঘ দিন ধরে ‘মৈত্র সংযোগ’ নামে একটি সংস্থা তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে রূপান্তরকামীদের লড়াই করছেন। তাঁর উদ্যোগে একটি পত্রিকা প্রকাশ হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ১০:৫০
Share: Save:

স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন ঈশ্বর, ঝুনঝুনিরা। কেউ শীতলপাটীর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। কেউ বিউটিশিয়ানের কাজ শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সবাই রূপান্তরকামী।

কোচবিহার জেলার বিভিন্ন জায়গার বাসিন্দা রূপান্তরকামীদের ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নাম ‘টানাপড়েন’। সব মিলিয়ে সদস্যের সংখ্যা চল্লিশ। ইতিমধ্যে একটি ব্যাঙ্কে আমানত করেছেন তাঁরা। সেখানেই মাসে মাসে টাকা জমিয়ে সেই পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁদের। সংগঠনের পক্ষে সুমি দাস বলেন, “রূপান্তরকামী মানুষদের নিয়ে আমাদের এই গোষ্ঠী। প্রত্যেকে স্বনির্ভর হওয়ায় আমাদের লক্ষ্য। অনেক বাধা এসেছে আমাদের জীবনে। অনেকে টানাপড়েনের মধ্যে দিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা। আশা করি এই কাজে আমরা mknsj সহযোগিতা পাব।”

ঘুঘুমারিতে একটি অফিস তৈরি করেছেন তাঁরা। গোষ্ঠী গড়ার মূলে রয়েছেন সুমি দাস নিজে। দীর্ঘ দিন ধরে ‘মৈত্র সংযোগ’ নামে একটি সংস্থা তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে রূপান্তরকামীদের লড়াই করছেন। তাঁর উদ্যোগে একটি পত্রিকা প্রকাশ হয়। সুমি জানান, তাঁদের গোষ্ঠীতে রয়েছেন এমন অনেকেই শীতলপাটীর কাজের সঙ্গে যুক্ত। পাটী তৈরিতে অনেকেই দক্ষ। সেই সদস্যদের নিয়েই মূলত কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া বিচ্ছিন্ন ভাবে কেউ কেউ বিউটিশিয়ান এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিতে চাইছে। সেই কাজের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “সবাই মিলে কিছু কিছু করে টাকা জমা রাখা শুরু করেছি। পরবর্তীতে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে আমরা কাজের পরিসর বাড়াতে চাই। এ ছাড়া সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধের জন্যেও আবেদন করব।”

সুমি জানান, ছোট থেকেই সমাজের সঙ্গে নানা লড়াই করে তাঁরা বড় হয়েছেন। বড় হয়েও অনেক কষ্ট করে দিনযাপন করতে হচ্ছে। সফল ভাবে গোষ্ঠীর কাজ চালাতে পারলে তাঁদের ওই অবস্থার পরিবর্তন হবে বলে তাঁরা আশাবাদী। তিনি বলেন, “একটা সময় কেউ আমাদের দেখলেই দূর দূর করত। এখন সে অবস্থা পাল্টেছে। আশা রাখি সবাই পাশে দাঁড়াবেন।” কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ওই সংগঠনের পাশে থাকব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE