Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

আগুন নেভাবে কে, হুঁশ ফেরেনি পুরসভার

পুরসভার ডেপুটি মেয়র রামভাজন মাহাত জানান, পুরসভার আগ্নিনির্বাপক মেশিনগুলি দীর্ঘদিনের। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ কি না, তা দেখতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যন্ত্রগুলি পাল্টানোর জন্য পুর আধিকারিকদের জানানো হবে। পুরভবন সংস্কার করাও জরুরি।’’

অসাবধানী: মেয়রের ঘরে লাগা আগুন নেভাচ্ছেন এক পুরকর্মী। ফাইল চিত্র

অসাবধানী: মেয়রের ঘরে লাগা আগুন নেভাচ্ছেন এক পুরকর্মী। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:৪০
Share: Save:

পুরসভার মেয়রের ঘরে আগুন লাগার পরেও হুঁশ ফেরেনি পুর কর্তৃপক্ষের। শিলিগুড়ি পুর ভবনের রয়েছে মাত্র চারটি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র। সেগুলিও আবার মেয়াদ উত্তীর্ণ। ফলে পুরসভার অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থায় সচেতন হওয়ার দাবি তুলেছেন পুর কর্মীদের একাংশ।

পুরসভার ডেপুটি মেয়র রামভাজন মাহাত জানান, পুরসভার আগ্নিনির্বাপক মেশিনগুলি দীর্ঘদিনের। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ কি না, তা দেখতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যন্ত্রগুলি পাল্টানোর জন্য পুর আধিকারিকদের জানানো হবে। পুরভবন সংস্কার করাও জরুরি।’’

শিলিগুড়ি পুর ভবনের একটি প্রধান সিঁড়ি রয়েছে। মেয়রের ঘরের পাশে আর একটি সিঁড়ি থাকলেও তা সরু। সেই সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত ওঠানামা করা কঠিন। বিশেষ করে যদি একসঙ্গে একাধিক লোক যাতায়াত করে। পুরভবনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কাগজ। যাওয়া-আসার গলিতে ফেলে রাখা রয়েছে অনেক আলমারি। আগুন লাগলে ভবন থেকে বার হতেও সমস্যায় পড়তে হবে বলে কর্মীদের একাংশের আশঙ্কা।

শিলিগুড়ি পুরসভা চত্বরে সাফাইয়ের গাড়িগুলি রাখা হয়। সেখানেও পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা নেই। পুরভবনের নীচের তলের ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের ঘরের সামনে বিদ্যুতের যন্ত্রপাতি রাখা হয়েছে। কিছু দিন আগে সেই মেশিন থেকে ধোঁয়া বার হয়েছিল। পুরসভার অনেক কর্মীরই দাবি, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার একটি যন্ত্র থাকলেও তা চালানোর লোক নেই। ফলে আতঙ্কে সবাই দ্রুত বাইরে যাওয়ার জন্য সে দিন ছুটোছুটি শুরু করেন।

পুভবনের তিন তলায় রয়েছে পূর্ত দফতর। সেখানে অর্থ বিভাগও রয়েছে। সেখানেও ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য কাগজ এবং ভাঙা আলমারি। কিন্তু একটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও তা কবেকার, পুরকর্মীদের অনেকেই জানেন না। তাঁদের আরও অভিযোগ, ভবনের ভিতর ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য বিদ্যুতের তার। সেগুলিও বিপদ ঘটাতে পারে। তাতেও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

পুরসভা বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘পুরভবন সংস্কার না করে বরাদ্দ টাকা ফেরত পাঠিয়েছে পুরবোর্ড। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীন মেয়র। ভয়াবহ আগুন লাগলে অনেক মূল্যবান কাগজ পুড়ে যেতে পারে।’’

সেগুলির সংরক্ষণের আলাদা ব্যবস্থা করার দাবিও জানান রঞ্জনবাবু। একই সঙ্গে বলেন, ‘‘রাজ্যের পুরমন্ত্রীকে পুরভবন সংস্কারের ব্যাপারে জানান হবে। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ভাল করার কথা মেয়রকে জানান হয়েছে, আবার জানান হবে। ’’

কয়েক দিন আগে মেয়রের ঘরে আগুন লেগেছিল। সেখানে দু’টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও তা পুরনো। একটির মুখে আবার যন্ত্রাংশটি বেপাত্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Siliguri Mayor Office Fire Protection
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE