দায়িত্বজ্ঞানহীনতার এমনই দৃশ্য চোখে পড়ল ধূপগুড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
করোনার নতুন প্রজাতি (স্ট্রেন) ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু তার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে তার লেশমাত্র নেই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো কোন ছাড়, মুখে মাস্কটুকু পড়ার প্রয়োজন দেখা গেল না সেখানে। সাধারণ মানুষ তো বটেই, চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনর পরিচয় দিলেন সরকারি কর্মচারীরাও।
নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া মিলতে শুরু করেছে। শনিবার ধূপগুড়ি পৌরসভাতেও ভিড় ছিল উপচে পড়ার মতো। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা গেল, গা ঘেঁষে দাঁঢ়িয়ে রয়েছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। তাঁদের অধিকাংশেরই মুখে মাস্ক নেই। বাড়ি থেকে মাস্ক বয়ে আনার তাগিদ যা-ও বা দেখিয়েছেন কিছু মানুষ, তাঁদের অধিকাংশেরই মাস্ক থুতনির নীচে ঝুলছে। অনেকে আবার পকেটে মাস্ক পুরে রেখেই লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
পৌরসভার ভিতরেও একই দৃশ্য। সরকারি কর্মচারীদের এক একটি টেবিল ঘিরে কমপক্ষে ১০-১৫ জন দাঁড়িয়ে থাকলেও, তাঁদের সিংহভাগেরই মুখে মাস্ক ছিল না। এমনকি কাছ থেকে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনছিলেন যে সরকারি কর্মচারীরা, মাস্ক পরার তাগিদ দেখা যায়নি তাঁদের মধ্যেও।
সরকারি নির্দেশ মতো দেশ জুড়ে জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে এই মুহুর্তে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। জায়গায় জায়গায় পোস্টার টাঙিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলার প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। তার মধ্যেও এমন দৃশ্য ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় প্রশ্ন উঠছে পৌরসভার ভূমিকা নিয়েও।
তবে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে ধূপগুড়ি পৌরসভার উপ পৌরপিতা রাজেশ সিংহর লেন, ‘‘দুয়ারে সরকার শিবিরে সাধারণ মানুষের কাজ হচ্ছে। তাই আবেগ নিয়ে শত শত মানুষ আসছেন। আমরা সামাজিক দূরত্ববিধি এবং মাস্ক ব্যবহারের দিকটায় নজর রাখছি।’’ একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজনৈতিক দলগুলির কর্মসূচিতেও তো মানুষের ভিড় হচ্ছে!’’ তবে এ ভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে বলে আশঙ্ক করছেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy