Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

স্ট্রেচার অমিল ভরসা ট্রলিতেই

হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, এ সবের জন্য কিছু বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা দায়ী। তাঁরাই নজরদারির অভাবে হাসপাতাল থেকে স্ট্রেচার নিয়ে চলে যাচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।

ভোগান্তি: স্ট্রেচার নেই, হাসপাতালের সরঞ্জাম নেওয়ার ট্রলিতেই যাচ্ছেন রোগী। নিজস্ব চিত্র

ভোগান্তি: স্ট্রেচার নেই, হাসপাতালের সরঞ্জাম নেওয়ার ট্রলিতেই যাচ্ছেন রোগী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৮ ০৩:০১
Share: Save:

হাসপাতালে স্ট্রেচার কম, তাই রোগীর জায়গা হয়েছে জিনিস বয়ে নিয়ে যাওয়ার ট্রলিতে। সেটা করেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোগীকে। বুধবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এমনই দৃশ্য নজরে এসেছে।

জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের পাগলাহাটের বাসিন্দা মনসুর আলম তাঁর মেয়ে মহসুনাকে এ দিন চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলেন হাসপাতালে। মহসুনার পায়ে ব্যাথা হওয়ায় তাকে কিছু পরীক্ষা করানোর জন্য চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন। কিন্তু মেয়ের জন্য স্ট্রেচার চেয়েও পাননি পরিবারের লোকেরা। মনসুরবাবু বলেন, ‘‘মেয়ে ব্যথার চোটে হাঁটতে পারছে না। হাসপাতালে স্ট্রেচার চেয়েও পাইনি তাই জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার ট্রলিতেই মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছি।’’ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন প্রচুর রোগী চিকিৎসার জন্য যান। আশেপাশের জেলাগুলি তো বটেই পাশের রাজ্য বিহার থেকেও রোগীরা আসেন চিকিৎসার জন্য। কিন্ত হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ চলছেই।

হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, এ সবের জন্য কিছু বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা দায়ী। তাঁরাই নজরদারির অভাবে হাসপাতাল থেকে স্ট্রেচার নিয়ে চলে যাচ্ছে বলে তাঁদের দাবি। তাতে সমস্যায় পড়েছেন মেডিক্যালে আসা রোগীরা।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা নিয়েও। হাসপাতালের করিডর জুড়ে কুকুর-বেড়ালের অবাধ বিচরণ। সুযোগ পেলেই তারা ঢুকে পড়ছে ওয়ার্ডে। হাসপাতালের ক্যাম্পাসের ভিতরেই অন্তত শ’খানেক কুকুর রয়েছে। মেডিক্যালের জরুরি বিভাগ, অস্থি বিভাগ, প্রসূতি বিভাগের সামনে কুকুর-বিড়ালের অবাধ বিচরণ করতে দেখা গিয়েছে। দলবেঁধে কুকুরের সারি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

প্রসূতি বিভাগের এক রোগীর আত্মীয় বলেন, ‘‘কুকুর ঢুকতে না-পারলেও জানলা দিয়ে প্রায়ই বেড়াল ঢুকে পড়ে। যেকোনও সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে।’’ রোগীদের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট খেয়ে দিব্যি আছে সারমেয়দের দল।

হাসপাতালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, ‘‘হাসপাতালের ভিতরে অনেক সময়ই কুকুর বেড়াল থাকে। বের করে দিলেও আবার ফিরে আসে। হাসপাতালের নিরপত্তাকর্মীদের বলেছি এ ব্যাপারে নজর রাখতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hospital patient
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE